নিজস্ব প্রতিবেদন: আশঙ্কা ছিলই। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসতে থাকে ভাঙড় থেকে। আরাবুলের কেন্দ্র উত্তর গাজিপুরে বোমাবাজি, ইটবৃষ্টির সঙ্গে দুপক্ষের সংঘর্ষ চলতে থাকে। বিরোধী দলের প্রার্থীকে অপহরণ করে মারধরের অভিযোগ ওঠে আরাবুল ইসলামের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তত্পরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিস। ডিজি-র কাছে রিপোর্ট তলব করে নির্বাচন কমিশন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নতুন করে ভাঙড়ে আগুন জ্বলেছিল গত শুক্রবারই। অভিযোগ, সেদিন আরাবুলের অঙ্গুলিহেলনে নির্দল প্রার্থীর মিছিলে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা, মৃত্যু হয় হাফিজুল মোল্লার। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে শুক্রবারই আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিস। শনিবার আরাবুলের বাড়ির পিছনে দেখতে পাওয়া যায় বিপুল সংখ্যাক তাজা বোমা। ফলে সব মিলিয়ে আশান্তির আশঙ্কা করা হচ্ছিল।


আশঙ্কাই সত্যি হল। সোমবার ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আরাবুলের এলাকা উত্তর গাজিপুর থেকে অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। জানা যায়, উভয় পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়েছে। একটি বুথের বাইরে প্রথমে উত্তেজনা ছড়ায়। কিছুক্ষণের জন্য ওই বুথের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পুলিসি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে আসে। 


বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের তপ্ত হতে থাকে এলাকা। পোলেরআউট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে বিরোধী প্রার্থী এনতাজুল মোল্লাকে অপহরণ করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এনতাজুলের পা ভেঙে যায়। বিরোধীদের অভিযোগ, আরাবুল না থাকলেও তাঁর অনুগামীরা এলাকায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। উত্তর ও দক্ষিণ গাজিপুরের বেশ কয়েকটি বুথ দখলের অভিযোগ ওঠে। উল্লেখ্য, উত্তর গাজিপুর পঞ্চায়েত সমিতি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বয়ং আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ের মাছিভাঙা, খামারআউট- সহ অন্যান্য এলাকাগুলিতে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও উত্তর গাজিপুর থেকে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর আসে। 


সূত্রের খবর, রবিবার রাতেও বারবার ভোট নিয়ে প্রশাসনকে সতর্ক করে কমিশন। সোমবার সকালে গন্ডগোলের খবর পেয়ে রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলার সঙ্গে কথা বলেন কমিশনার।


ভাঙড় প্রসঙ্গে তৃণমূলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভাঙড়ের কেবল একটি মাত্র বুথে অশান্তি হয়েছে। কমিশন কড়া পদক্ষেপ করেছে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরাবুল ইসলামকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ অন্যদিকে, বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘তৃণমূল অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। নির্দল ও তৃণমূলের মধ্যে বোমাবাজি হচ্ছে। তৃণমূল সাধারণ মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে।’’