নিজস্ব প্রতিবেদন:  নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে যে কোনও দিন ভোট করতে পারে নির্বাচন কমিশন। আদালত সেখানে হস্তক্ষেপ করবে না। বৃহস্পতিবার স্পষ্ট জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। আর সেক্ষেত্রে ১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হওয়ার পথে আরও কোনও বাধা রইল না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যে তারা খুশি, তা এদিন শুনানি চলাকালীনই আদালতকে জানিয়েছে কমিশন। তবে আদালত এদিন আরও একটি বিষয় স্পষ্ট করেছে। প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, নির্বাচনে অশান্তি হলে, তার দায় বর্তাবে স্টেট অফিসা৩রদের উপর। প্রাণহানির ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েতের নিরাপত্তা নিয়ে যে আধিকারিকরা রিপোর্ট দিয়েছেন, তাঁদের বেতন থেকেই ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলেও জানিয়েছে আদালত। শুধু তাই নয়, ওই আধিকারিকদের বেতন, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত না হলে, তাঁদের সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পঞ্চায়েত নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি বিষয়ই বড় হয়ে উঠেছিল, তা হল ৩ দিনের বদলে ১ দিনে নির্বাচন হলে কতটা শান্তিপূর্ণ হবে ভোট। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন  নির্বাচন কমিশনকে কেবল এই প্রশ্নই করে আদালত।


 আদালত প্রশ্ন করে, ‘এক দিনে পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন?’ আরও প্রশ্ন করা হয়, ‘রাজ্য সরকারের তরফে যে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, তাতে কি নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট?’ এই প্রশ্ন শুনে কমিশন জানায়, ‘রাজ্যের দেওয়া নিরাপত্তায় তারা সন্তুষ্ট।‘


এরপরই আদালত স্পষ্ট জানায়, ‘যখনই ভোট হোক, শান্তি বজায় রাখতে হবে।‘  এক্ষেত্রে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা হয়, ‘ভোটে কোনওরকমভাবে অশান্তি ছড়ালে তার দায় নিতে হবে স্টেট অফিসারকেই।‘ প্রাণহানি ঘটলে  ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।


প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আরও জানিয়ে দেয়, যদি নির্বাচন কমিশন রাজ্যের দেওয়ার নিরাপত্তায় সন্তুষ্ট থাকে, তবে সে বিষয়ে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না। নিরাপত্তার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই।


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটে সুরক্ষার দায়িত্বে থাকবে ৬১ হাজার সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী। রাজ্য পুলিস, কলকাতা পুলিসের পাশাপাশি এবার ভোটে ব্যবহার করা হবে বনরক্ষী, আবগারিকর্মী, হোমগার্ড, এনভিএফ সদস্যদেরও। ভিন রাজ্য থেকে আসবে ২ হাজার সশস্ত্র পুলিস। একইসঙ্গে এবার পঞ্চায়েত ভোটে মোতায়েন করা হবে ৮০ হাজার সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও। জানানো হয়েছে, বুথ পিছু একজন করে সশস্ত্র ও একজন লাঠিধারী পুলিস মোতায়েন করা হবে। অর্থাত্ কোনও একটি ভোটকেন্দ্রে যদি ৫টি বুথ থাকে, তবে সেই ভোটকেন্দ্রে ৫ জন সশস্ত্র ও ৫ জন লাঠিধারী পুলিস মোতায়েন থাকবে।