নিজস্ব প্রতিবেদন: মোদীর সভায় যোগ দিতে যাওয়ার আগে পুলিসকে মারধর করল বিজেপি কর্মীরা। রাস্তায় ফেলে, চুলের মুঠি ধরে হিঁচড়ে টেনে- বেধড়ক আক্রমণ করা হল এক পুলিসকর্তাকে। এই ঘটনাকে ঘিরে সোমবার সকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় খড়্গপুরের চৌরঙ্গী মোড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মেদিনীপুরের মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, তারই মধ্যে সভাস্থলের পিছনে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা


৬ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া চৌরঙ্গী এলাকায় এই ঘটনার সূত্রপাত বেলা ১১টায়। গাড়ি করে সভা মঞ্চে যাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। গাড়ির ভিড়ে ৬ নং জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই, পুলিস বিজেপিকর্মী সমর্থকদের গাড়ি আটকে দেয়। এরপরই সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেধে যায় বিজেপি সমর্থকদের। অভিযোগ, সিভিক ভলেন্টিয়ারদের উপর চড়াও হয়ে তাদের বেধড়ক মারধর করে বিজেপি কর্মীরা। তাদের হাত থেকে রেহাই পাননি অতিরিক্ত পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশীও। তাঁকেও রীতিমতো ধাওয়া করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। রাস্তার পাশ থেকে খুলে ফেলা হয় তৃণমূলের পতাকা ও তোরণ। এরপর চুলের মুঠি ধরে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় তাঁকে। ঘটনায় আহত হন বেশকয়েকজন।


আরও পড়ুন: নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী!


এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন জেলা পুলিস সুপার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, এই ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেছেন, ‘‘পুলিস গাড়ি আটকাচ্ছিল। আমাদের কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। তাই বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে। কিন্তু এভাবে পুলিসকে মারধর করা অত্যন্ত নিন্দনীয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ 


 



মোদীর সভাতেও আজ ঘটে যায় চরম বিশৃঙ্খলা। সভা চলাকালীন প্যান্ডেল ভেঙে পড়ে ৪৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন ৭ ব্যক্তি। আহতরা মেদিনীপুর হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। তাঁদের দেখতে মেদিনীপুর হাসপাতালে যান প্রধানমন্ত্রী। আহতদের কারও হাত কেটেছে, কারও বা মাথায় চোট। আহতদের কয়েকজন মহিলা। এদিন হাসপাতালে গিয়ে অনুগামীদের সঙ্গে দেখা করে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা আহতদের মাথায় হাতও বুলিয়ে দিতেও দেখা যায় নমোকে।