`এভাবে চলে যেতে পারো না`, শহিদ স্বামীকে জড়িয়ে আর্তি স্ত্রীর
নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাঙ্কে চাকরি পেয়েও করেননি। দেশের জন্য কিছু করার স্বপ্ন ছিল, লক্ষ্য ছিল। পুলিসে চাকরি সেজন্যই। এসআই অমিতাভ মালিকের এভাবে চলে যাওয়া সেই স্বপ্নেরই অপমৃত্যু। শুধু একটি প্রাণ নয়, যেন শেষ হয়ে গিয়েছে পরিবারও!
মাত্র ছ মাস আগে বিয়ে। একসঙ্গে পথ চলা সবে শুরু হয়েছিল। কিন্তু থেমে গেল..... বিয়ের ছ'মাসের মধ্যে সব শেষ। এভাবে হারাতে হল স্বামীকে! দার্জিলিংয়ে নিহত সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের শোকস্তব্ধ স্ত্রীকে, সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা কারোর কাছেই নেই। স্বামীর কফিন জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী।
দুপুরে দার্জিলিং সদর থানায় গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় নিহত SI অমিতাভ মালিককে। হাসপাতালে দেহের ময়নাতদন্তের পর, সেখান থেকে তা সরাসরি নিয়ে আসা হয় থানায়। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির ছিলেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক, শীর্ষ পুলিস কর্তারা। এরপর দেহ শিলিগুড়ির পথে রওনা করিয়ে দেওয়া হয়। বিমানে শনিবার মধ্যমগ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে অমিতাভ মালিকের দেহ।
দুঃস্থ পরিবার। অনেক লড়াই করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হয়েছিল। বরাবর মেধাবী ছাত্র ছিলেন অমিতাভ। আইআইটি-তে সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে পড়তে পারেননি। পুলিসের চাকরিতে যোগ দেন ২০১৫ সালে। ব্যাঙ্কেও চাকরির সুযোগ এসেছিল, কিন্তু যোগ দেননি অমিতাভ।
আগামী সোমবার ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল। পরিবারের সঙ্গে কালীপুজো কাটাবেন, এটাই ঠিক ছিল। তার আগেই নেমে এল অন্ধকার। পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে এদিন বাড়িতে যান পুলিস সুপার, অতিরিক্ত পুলিস সুপার। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক। নিহত এসআই-এর বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। পুলিসে স্ত্রীর চাকরির পাশাপাশি, বাবাকেও চাকরি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।