বিক্রম দাস: কালিম্পংয়ে রাজ্য পুলিসের এসটিএফের হানায় পাকড়াও এক সন্দেহভাজন পাকিস্তানি এজেন্ট। ধৃতের কাছে থেকে একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এসটিএফ সূত্রে খবর ২০২০ সালে নেপালে গিয়েছিল ওই যুবক। সেখানেই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর হ্যান্ডেলারের সঙ্গে তার পরিচিত হয় তার। তারপর থেকেই সেনা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য সে জোগাড় করত এবং তা পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছে। ধৃতের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে পাক গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-রোহিতের কাছ থেকে 'ফিনিশার'-এর তকমা পেলেও 'ক্রেডিট' নিতে রাজি নন 'ডিকে' 


এসটিএফের কাছে খবর ছিল, কালিম্পংয়ের ওই যুবক পাক এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। ওই খবরের উপরে ভিত্তি করে শুক্রবার রাতে কালিম্পংয়ের একটি নির্দিষ্ট জায়গায় হানা দেয় এসটিএফ। তার পরই গ্রেফতার হয় পীর মহম্মদ ওরফে সমীর দাঁ নামে ওই ব্যক্তি। এডিজি এসটিএফ জ্ঞানবন্ত সিংয়ের নেতৃত্বে পীর মহম্মদকে টানা জেরা করা হচ্ছে। জানা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন সেনা ঘাঁটি এলাকার ছবি ও ভিডিয়ো সে তুলতো এবং সেগুলি সে  আইএসআইয়ের কাছে পাঠিয়ে দিত। উদ্বেগের বিষয় পীর মহম্মদের সঙ্গে ওই কাজে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে। ওইসব লোকজন কারা তা জানার চেষ্টা করছে এসটিএফ।


উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট উত্তর ২৪ পরগনার খড়িবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় ২ আল কায়েদা জঙ্গিকে। ধৃতদের নাম আবদুর রফিক সরকার ওরফে হাবিবুর এবং কাজি এহসান মোল্লা ওরফে হাসান। ধৃত আবদুর রফিক সরকার আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের পশ্চিমবঙ্গের অপারেশনের চার্জে ছিল। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছিলেন কয়েকদিন, আগে বাংলাদেশ সীমান্তে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা কারও সঙ্গে দেখা করতে আসবেন আবদুর রফিক সরকার। সেই ব্যক্তি কাজি এহসান মোল্লা। এরপর থেকেই আবদুর রফিকের উপর নজর রাখতে শুরু করেন অফিসাররা। গ্রেফতাদের দিন যখন তারা একসঙ্গে হয়, তখন তাদের গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা স্বীকার করেছেন যে তারা আল কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টেরে সদস্য। আবদুর রফিক নাকি নিজে জানিয়েছেন, তিনি আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব-কন্টিনেন্টের চার্জে রয়েছেন। ধৃতদের কাছ থেকে বহু মৌলবাদী নথি এবং বহু গোপন তথ্য উদ্ধার হয়।


ওই ২ জনকে জেরা করে একটি তথ্য বেরিয়ে আসে। জানা যায় ডায়মন্ডহারবারের একটি বাড়িতে নতুন নিয়োগ হওয়া জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বছর দেড়েক ধরে। নব নিযুক্ত জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সাদ্দাম হোসেন ও সমির হোসেন।