Weather Report: শীতের আমেজ রাজ্যে, ঝলমলে আকাশে কমছে তাপমাত্রা পারদ
নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। এদিকে, অক্টোবরে শীতলতম দিনের রেকর্ড গড়ার পর, আজ কুড়ির ঘরে থাকতে পারে শহরতলির পারদ। তবে আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তও তৈরি হবে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শীতের অপেক্ষার মধ্যেই ফের ঘূর্ণাবর্তের ভ্রুকুটি। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে। পরে তা নিম্নচাপ হয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে। তবে এই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা কম বলে মনে করছেন আবহবিদরা। তবে এদিন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে কমল অনেকটাই। এদিকে, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানান হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও আগামী সপ্তাহের শেষের দিকে মেঘলা আকাশ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে। পাশাপাশি, আগামী সপ্তাহ থেকে বাড়বে শীতের আমেজ।
আরও পড়ুন, East Bardhaman: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, একসঙ্গে আটজনের পদত্যাগ পূর্ব বর্ধমানে
তবে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ধীরে ধীরে কমবে তাপমাত্রা। এদিকে, অক্টোবরে শীতলতম দিনের রেকর্ড গড়ার পর, আজ কুড়ির ঘরে থাকতে পারে শহরতলির পারদ। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। জেলায় জেলায় শীতের আমেজ পড়েছে ইতিমধ্যেই। ভোরের দিকে বাতাসে রয়েছে শিরশিরানি ভাব।
হাওয়া অফিসের তরফে জানান হয়েছে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে পারে। কমবে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। শুষ্ক আবহাওয়া এবং শীতের আমেজ নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই টের পাবে বঙ্গবাসী। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী সপ্তাহে, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভোরে এবং রাতে শীত শীত ভাব বহাল রয়েছে গোটা রাজ্যে। দার্জিলিং সহ পার্বত্য জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হবে ৭ ও ৮ তারিখ।
১০ নভেম্বরের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে লঘুচাপ তৈরী হতে পারে বলে নিজেদের গবেষণায় দাবি করেছে ওই মার্কিং সংস্থা। এরপর ১১ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তা প্রথমে নিম্নচাপ, তারপর ঘূর্ণাবর্ত এবং শেষে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে গবেষণায় জানানো হয়েছে। এবার আর পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ নয়। মানদৌস অন্ধ্রপ্রদেশের মছলিপত্তনম বা লাগোয়া এলাকা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে। দিল্লীর মৌসম ভবন বা আলিপুর আবহাওয়া দফতর এখনও পর্যন্ত মানদৌস নিয়ে কোনও পূর্বাভাস বা সতর্কতা জারি করেনি।
আরও পড়ুন, 'কলকাতায় ডেঙ্গিতে মারছেন, বীরভূমে উস্কানি দিয়ে', ফিরহাদকে 'শান্ত' হতে বললেন জীতেন্দ্র!