নিজস্ব প্রতিবেদন:  রাজ্য বিধানসভায় সর্বসম্মতভাবে পাস হয়ে গেল CAA বিরোধী প্রস্তাব।  বাম ও কংগ্রেস দুই বিরোধীই প্রস্তাবের পক্ষে থাকায় ভোটাভুটির প্রয়োজন পড়েনি। কেন দেরিতে বোধোদয়? প্রশ্ন তুলে সরকারকে বিঁধতে ছাড়েনি বিরোধীরা। পাল্টা ইগো দূরে সরিয়ে একজোটে লড়ার বার্তা  মুখ্যমন্ত্রীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেরল-পঞ্জাব-রাজস্থানের পর বাংলা। ভোটাভুটি ছাড়াই প্রস্তাবে সায় বিরোধীদের। উত্তরবঙ্গ সফরের আগে মুখ্যমন্ত্রী জানান, বিধানসভায় CAA বিরোধী প্রস্তাব আনতে সরকার রাজি। সেইমতোই সোমবার রাজ্য বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই আইনের পর দেশের মানুষ বিপন্ন, বিপন্ন দেশ। তাই, এই প্রস্তাব আনা হল। বৈধ ভারতীয় নাগরিকরা সমস্যায় পড়েছেন, অবিলম্বে CAA NPR প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি।


প্রস্তাবের ওপর আলোচনা শুরু হতেই  ৯ জানুয়ারির কথা টেনে আনেন সুজন চক্রবর্তী। সেদিন বাম কংগ্রেস CAA-এ বিরোধী প্রস্তাব আনতে চাইলে অনুমতি দেননি স্পিকার।  মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বাম নেতা। কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান অবশ্য, তুতু ম্যায় ম্যায় ছেড়ে একজোটে লড়াইয়ের কথা বলেন। আব্দুল মান্নান জানান, বিলম্বিত বোধোদয় হয়েছে। এটা আনন্দের বিষয়। এই সংকল্প গুরুত্বপূর্ণ, এই লড়াই তৃণমূলের বিরুদ্ধে নয়, যাঁরা আইন এনেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে। চুলচেরা বিতর্ক করে লাভ নেই, এই আলোচনা আইনের বিরুদ্ধে।


আরও পড়ুন- ধর্ষণের পর পুঁতে দেওয়া হয়েছিল দেহ, ৬ বছর পর বলাগড়কাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির নির্দেশ


জবাব দিতে উঠে বিতর্কের মধ্যেই যাননি মুখ্যমন্ত্রী। বিজেপির বিরুদ্ধে একজোটে লড়ার কথা বলেন মমতা। তিনি বলেন, নয়া নাগরিকত্ব আইন জনস্বার্থ বিরোধী। সবাইকে এর বিরুদ্ধে একজোটে লড়তে হবে। তবে, NPR বিরোধিতায় তিনি যে একরোখা তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, “এই আইন সংস্কৃতির লজ্জা। এটা বিজেপির রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির ফন্দি। আমি আপনাদের বন্ধু মনে করি, আসুন সবাই মিলে একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই।আপনারা কেন NPR মিটিং-এ গেলেন? আমি গেলাম না, দেখালাম আমরা যা পারি অন্যেরা তা পারে না ।“


আরও পড়ুন- করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে চিনে ঘরবন্দি বর্ধমানের যুবক, দ্রুত দেশের ফেরানোর আর্জি পরিবারের


দু’ঘণ্টার চাপানউতোরের পর ভোটাভুটি ছাড়াই পাস হয় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব। সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। সিএএ -NRC তে হাতিয়ার করে দেশজুড়ে বিজেপির বিরোধী আন্দোলন জোরদার করতে চাইছে তৃণমূল। একইলক্ষ্য বাম-কংগ্রেসেরও। কিন্তু, CAA বিরোধি প্রস্তাব পেশের সময় যেভাবে তৃণমূলকে নিশানা করল বাম-কংগ্রেস শিবির।তাতে জাতীয়স্তরে একজোটে লড়াই আদৌ কতটা সম্ভব? প্রশ্নটা উঠেই যাচ্ছে।