সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: কেষ্টর গড়ে দলীয় সভা। আর সেই সভাতে কেষ্টর অভাবের কথা বার বার উঠে এল নেতাদের বক্তব্যে। যদিও কেউই নাম করলেন না অনুব্রত মণ্ডলের। নাম না করেই উপস্থিত মন্ত্রী থেকে জেলা সভাপতি সকলেই কেষ্টর অভাবের কথা বললেন। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় পূর্ব বর্ধমান জেলার ১৬ বিধায়কদের নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব বিশেষ বৈঠকে বসেছিল। গোরুপাচার কাণ্ডের জেরে অনুব্রত মণ্ডল আসানসোল সংশোধনাগারে থাকায়, নেতৃত্বে কিছুটা  শূন্যতা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের  দায়িত্বে  থাকা পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট, ও কেতুগ্রাম এলাকার সাংগঠনিক দায়িত্ব পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতিকে দেওয়া হয়। রাজ্য নেতৃত্বের সেই সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের পর আজই প্রথম কেতুগ্রামের ১৬টি পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের নিয়ে  বিশেষ বৈঠক হল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেতুগ্রামের বিধায়কের ডাকা বৈঠকে আজ উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী  চন্দ্রনাথ সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল প্রমুখ। সাংগঠনিক সভার শেষে বীরভূমের নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, 'রাজ্য নেতৃত্বের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের কথা আমরা শুনেছি। দলের তরফে কোনও  নির্দেশ এখনও পাইনি। জানতে পেরেছি যে বীরভূম জেলা সভাপতির অধীনে থাকা পূর্ব বর্ধমানের তিন বিধানসভা সংগঠনের দেখাশোনা করা হবে দুই জেলার নেতৃত্বদের সমন্বয় করে। তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতির সঙ্গে আমরাও থাকব।' 


আরও পড়ুন, Anubrata's Daughter: বোলপুরে বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় মিলল অনুব্রত-কন্যার বিপুল সম্পত্তির হদিস


কেতুগ্রামে দলের প্রথম সভায় দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'দলের নাম সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাব। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে জেনারেলের কিছু হয়ে গেলে যেমন কাউকে এগিয়ে এসে দলের হাল ধরতে হয়, তেমনই আমরা এগিয়ে এসেছি।' কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট এবং আউশগ্রাম বিধানসভার সাংগঠনিক দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ প্রথম পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সাংগঠনিক বৈঠক হয়।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)