নিজস্ব প্রতিবেদন : পুত্রবধূকে খুনের দায়ে ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কিন্তু কোন্নগরের গুলিকাণ্ডে মৃতা শুভলগ্নার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে অভিযুক্ত মহম্মদ সুলতানের বাবা। তাঁর সাফ দাবি, এই পরিণতির জন্য দায়ী শুভলগ্না নিজে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুলতানের বাবা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল শুভলগ্নার। স্ত্রীর পিছনে অনেক টাকাও খরচ করেছিল সুলতান। ব্যাঙ্ক থেকে ধার করে টাকা দিয়েছিল। এমনকি নিজের ব্যবসা থেকেও টাকা দিয়েছিল সে। এসবের ফলে সুলতানের নিজের ব্যবসাতেই মন্দা দেখা দেয়। চৌপাট হয়ে যায় কারবার। কিন্তু তারপরেও শুভলগ্না তাঁর ছেলের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করে দেয়। উপরন্তু, সুলতানের নামে ৩-৪টে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে শুভলগ্নার পরিবার। এইসব কারণে ইদানিং সুলতান মানসিকভাবে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিল বলে জানান তিনি।


অন্যদিকে, শুভলগ্নাকে সুলতান কেন খুন করল? তার তদন্তে নেমে উঠে এসেছে আরও একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, ২০১৪ সালে সুলতানের সঙ্গে রেজিস্ট্রি করেছিলেন শুভলগ্না। কিন্তু সেকথা বাড়িতে গোপন রেখেছিলেন। এরপর সুলতানের সঙ্গে মতবিরোধ হতেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন শুভলগ্না। অন্যদিকে, দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য তাঁর সম্বন্ধ পাকা হয়ে যায়। নভেম্বরেই ছিল বিয়ে। সেজন্য কেনাকাটাও শুরু হয়ে গিয়েছিল। পুলিসের অনুমান, একথা জানতে পেরে গিয়েছিল সুলতান। আর তারপরই আক্রোশ থেকে শুভলগ্নাকে খুন করে সে।


আরও পড়ুন, সম্পর্কে টানাপোড়েন, কোন্নগরে ভরসন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে গুলি করে খুন স্বামীর


উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে স্ত্রী শুভলগ্নাকে খুন করে সুলতান। মেয়েকে বাঁচাতে এসে সুলতানের হাতে আক্রান্ত হন শুভলগ্নার বাবা,মা-ও।