নিজস্ব প্রতিবেদন:  ভোটের মুখেই কেন খুন হতে হল মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল নেতাকে। পুলিসি তদন্তে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তবে এক্ষেত্রে পরিবার যা দাবি করছে, তার সঙ্গে অসঙ্গতি রয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্যের। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এখনও চলছে 'ক্লু'এর খোঁজ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING



তদন্তে জানা গিয়েছে, ডোমকলে নিহত তৃণমূল নেতা আফতাব শেখ আগে সিপিএম করতেন। গত পুরসভা নির্বাচনের আগে তিনি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগে দেন। তৃণমূলে যোগ দিয়েই তিনি একটি পদও পেয়ে যান। তিনি ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির মত্স্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়াও এলাকায় তাঁর প্রভাব বাড়ছিল। ভালো কাজের সুবাদে এলাকার মানুষের কাছে পরিচিতিও ছিল আফতাবের। যে কোনও মানুষের অসুবিধায় তিনি সাহায্য করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এই নিয়েই তৃণমূলের এক পক্ষের সঙ্গে তাঁর বিবাদ হয়। রাজনৈতিক সম্পর্কের জটিলতার কারণেই আফতাবের ওপর তৃণমূলেরই এক পক্ষের ক্ষোভ ছিল বলে অভিযোগ পরিবারের। তাঁরাই এই খুনের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পরিবারের। 


ভোটের মুখে রক্ত ঝরল মুর্শিদাবাদে, কুপিয়ে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে


পরিবারের তরফে থানায় কয়েক জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 
তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য এই ঘটনায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন। এই ঘটনায় বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন। তিনি বলেন, "খুন করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখানো যাবে না। অপরাধীরা ধরা পড়বেই। কেউ ছাড় পাবে না।"
সোমবার সন্ধ্যায় সাহাদিয়ার স্কুলে লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত সভা ছিল। সভা সেরে একটি মোটরবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন আফতাব ও সাবির। সেই সময়ে উল্টো দিক থেকে একটি ভ্যান ধাক্কা মারে। বাইক থেকে ছিটকে পড়ে যান আফতাব। এরপর কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঝোপের মধ্যে টেনে নিয়ে গিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আফতাবের। 
সোমবার রাতের ঘটনার পর থেকেই থমথমে ডোমকল। এলাকা জুড়ে চলছে তল্লাশি। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিস।