নিজস্ব প্রতিবেদন : জামাইকে মারধোর করে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির খুটিয়ালা গ্রামে। পলাতক স্ত্রী ও শ্বশুর-শাশুড়ি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০১১ সালে পশ্চিম বর্ধমানের অণ্ডালের দক্ষিণ খণ্ড গ্রামের বিবেকানন্দ ঘোষের সঙ্গে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটির খুটিয়ালা গ্রামের মেয়ে পূর্ণিমা ঢাঙের বিয়ে হয়। দম্পতির তিন বছরের একটি মেয়েও আছে। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।


আরও পড়ুন, স্ত্রীকে বিক্রির ফন্দি! বোবা মেয়ে সেজে অপহরণ স্বামীর, ধরা পড়ার পর চলল গণধোলাই


সম্প্রতি দাম্পত্য কলহের জেরে পূর্ণিমা বাপের বাড়ি চলে আসেন। স্ত্রী ও মেয়ের সাথে দেখা করার জন্য স্বামী বিবেকানন্দ বুধবার খুটিয়ালা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে যান। এরপর গতকাল পূর্ণিমা দেবী শ্বশুরবাড়িতে ফোন করে জানান, তাঁর স্বামী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।


খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে ছুটে আসেন বিবেকানন্দের বাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে এসে চিকিত্সকদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, তাঁদের ছেলে বিবেকানন্দর মৃত্যু হয়েছে। বিবেকানন্দ বাড়ির লোকের অভিযোগ খুন করা হয়েছে তাঁকে।


আরও পড়ুন, মমতার পোস্টার খুলতে বারণ অমিতের, পাল্টা 'সৌজন্য' তৃণমূলেরও


তাঁদের অভিযোগ, বিবেকানন্দ ঘোষের শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। যা থেকে প্রমাণ হয়, ব্যাপক মারধর করা হয়েছে বিবেকানন্দকে। তারপর বিষ খাইয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনা স্ত্রী পূর্ণিমা ও তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিবেকানন্দ ঘোষের বাড়ির লোকেরা। গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বিবেকানন্দর পরিবার। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক।