নিজস্ব প্রতিবেদন : অভাব নিত্যসঙ্গী। নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। দুবেলা দু'মুঠো খাবার জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে ২১ হাজারি মোবাইল? এতো চরম বিলাসিতা! এই নিয়েই ঝগড়া বেঁধেছিল স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। তারপরই শুক্রবার সকালে শ্বশুরবাড়ির ঘর থেকে উদ্ধার হল স্বামীর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃতের নাম দয়ারাম রবিদাস। পেশায় গাড়িচালক ছিলেন দয়ারাম। দু মাস ধরে অনেক কষ্ট করে ২৫ হাজার টাকা রোজগার করেছিলেন। কিন্তু সেই টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতেই বাঁধে বিপত্তি। অভিযোগ, দয়ারামের বউ জয়া মুর্মু পুরো টাকাটা নিয়েই চলে যায় মোবাইল কিনতে। ২৫ হাজারের মধ্যে ২১ টাকা দিয়েই মোবাইল কিনে বসে জয়া। সেই মোবাইল নিয়ে জয়া ঘরে ফেরার পরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্বামী-স্ত্রীতে বচসা বাঁধে।


আরও পড়ুন, বদলে গেল ঘিস নদীর রং! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা


এরপরই এদিন সকালে শ্বশুরবাড়ির ঘর থেকে দয়ারামের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে দয়ারাম রবিদাসের দাদা। তাঁর অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁর ভাইকে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দয়ারামের ২টো বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীয়ের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন দয়ারাম। তারপর থেকেই কামার পাড়ায় নিজের বাড়ি ছেড়ে পতিরাম এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি।


দয়ারামের বাড়ির লোকের অভিযোগ, দ্বিতীয় স্ত্রী অত্যন্ত লোভী ছিল। দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর থেকেই দয়ারাম আর্থিক সংকটে পড়েন। স্ত্রীর নানা আবদার, চাহিদা মেটাতে মেটাতে জেরবার হয়ে যান তিনি। দয়ারাম যে টাকা-ই রোজগার করে আনতেন, তার সবটাই হাতিয়ে নিত দ্বিতীয় স্ত্রী।


আরও পড়ুন, স্ত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় যুবকের চোখে ছুরির কোপ!


বৃহস্পতিবারও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি বাঁধে। এরপরই এদিন উদ্ধার হয় মৃতদেহ। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে প্রথমে বেধড়ক মারধর করা হয় দয়ারামকে। তারপর তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে দয়ারামের পরিবার। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।