প্রসেনজিত্ মালাকার: গোরুপাচার মামলায় বর্তমানে জেলে ঠাঁই হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার জোড়জোড় করছে ইডি। তবে অনুব্রতকে বাঘ বলে দাবি করেছেন ফিরহাদ হাকিম। এনিয়ে এবার নাম না করে তৃণমূলকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য রাজীব ভৌমিক। বিজেপি নেতার দাবি, সুতো এখন আমাদের হাতে। যখন চাইব জেলে ভরব, যখন চাইব বের করব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শববাহী গাড়ি না পেয়ে মায়ের মৃতদেহ কাঁধে তুলে হাঁটা দিল ছেলে, করুণ দৃশ্যের সাক্ষী জলপাইগুড়ির হাসপাতাল


বিধানসভা নির্বাচনের পর ও পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূমের লাভপুরে শুরু হয়েছে বিজেপির কর্মী সম্মেলন। লাভপুরের রেল ময়দানের ওই সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য রাজীব ভৌমিক বলেন, বীরভূমে যার দাপতে মানুষকে অতিষ্ট হতে দেখেছি তার জন্য মানুষ প্রচুর ভুগেছে। তার বড়বড় কথা মানুষকে আঘাত দিয়েছে। আজ তার চোখের জল মানুষ দেখছে। জঙ্গলের বাঘ এখন সার্কাসের খাঁচায় বন্দি। এখন খেলা আমরা দেখাব। হুইসল এখন আমাদের হাতে। আমরা বললে খেলতে হবে। যখন মনে হবে খাঁচাবন্দি করে রেখে দেব।



এখানেই থেমে থাকেননি রাজীব ভৌমিক। তিনি আরও বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের মাথা হিসেবে কাজ করেন রানা সিংহ। কেষ্টবাবু যখন তিহাড় জেলে পৌঁছাবেন তখন উনিও শ্রীঘরে যাবেন। ভোটের আগে অনেক টাকা বিলি করেছিলেন। সব তথ্য ইডির কাছে আছে। অনুব্রত মণ্ডলকে তৃণমূল বাঘ ভাবতে পারে। যার জন্য বাঘ সেই মমতা ব্যানার্জিকে দেখেছি অপরাধীরা যেমন নিজের অপরাধ স্বীকার করে তেমনি অমিত শাহর কাছে গিয়ে করেছেন। অর্থাৎ যিনি বাঘ বানিয়েছেন তিনি যখন আজকে শাহর হাত ধরছেন তা থেকে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে অনুব্রত মণ্ডল কত বড় বাঘ। চাবি এখন আমাদের হাতে, যখন মনে হবে খুলব, যখন মনে করব ভরব। আমরাই ঠিক করব। আমরাই ঠিক করার মালিক। ইতিমধ্যেই ইডি এর নোটিস পৌঁছেছে অনুব্রত মণ্ডলকে যিনি পেছন থেকে চালনা করেন তিনি হচ্ছেন রানা সিনহা। রানা সিনহা কে নির্বাচনের সময় দেখেছি প্রচুর অর্থ বিতরণ করেছে। অর্থ বিতরণের যে অর্থ কোথা থেকে এসেছে সেই খবর ইডির কাছে আছে। নিশ্চিতভাবে তথ্য অনুসন্ধান হবে প্রকৃত সত্য প্রকাশ হবে  এবং শ্রীঘরে যেতে উনি বাধ্য হবেন।



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)