জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সিএএ নিয়ে ফের মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুধু তাই নয়, সিএএকে সমর্থন করার কথাও ঘোষণা করলেন। রবিবার বাগদার সভায় অভিষেক বলেন, ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী বনগাঁয় এসে বলেছিলেন নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দেওয়া হবে মতুয়াদের। সেই কথার ৫ বছর পর শুধু ফর্ম ছেড়ে দিয়েছে। ওই ফর্মে আপনাকে ঘোষণা করতে হবে আপনি বাংলাদেশি, পাকিস্তানি কিংবা আফগানিস্তানি। তার পর এনআরসি হবে। তার পর দেখবেন যাদের নাগরিকত্ব দেবে বলেছিল তাদের অসমে যেভাবে ১২ লাখ হিন্দু বাঙালিতে ডিটেনশন ক্যাম্প পাঠিয়ে দিয়েছে একইভাবে বাংলার মানুষকেও ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠাবে। বিজেপি বলবে  অভিষেক বন্দ্যেপাাধ্যায় মিথ্যে কথা বলছে। ভয় দেখাচ্ছে। আজ আমার কথাটা রেকর্ড করুন। বিজেপির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আর প্রধানমন্ত্রী যদি ঘোষণা করেন যে তারা নিঃশর্তে নাগরিকত্ব দেবে আর কোনও এনআরসি হবে না তাহলে তৃণমূলের কেউ সমর্থন করুক বা না করুক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় সিএএকে সমর্থন করবে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি। এরা একটা নোটিফিকেশন করে বলুক সিএএ হবে, এনআরসি হবে না। অসমে যে ১২ লাখ হিন্দু বাঙালিকে ডিটেনশন ক্যাম্প পাঠিয়েছে তাকে বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী করেছে। এই কারণে আমরা সিএএ-র বিরোধিতা করছি। আপনারা বলুন এনআরসি হবে না। আমি সিএএকে সমর্থম করব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর পড়ুন-'আসলে আপনি চান ইউনিফর্ম সিভিল কোডের মধ্যে দিয়ে তপসিলি সংরক্ষণ উঠে যাক', কাকে নিশানা মমতার


সন্দেশখালি নিয়ে অভিষেক বন্দোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি বলছিল সন্দেশখালি তৃণমূলের আসন খালি করে দেবে। আর এখন দেখা যাচ্ছে বিজেপিই টলমল। বিজেপি নেতারা স্বীকার করেছ কোনও ধর্ষণ হয়নি। ভুয়ো মামলা দিয়ে তৃণমূল নেতাদের জেল ঢোকানেরা জন্য বাংলার ১০ কোটি মানুষকে ১৪০ কোটি মানুষের কাছে ছোট করা হয়েছে। আপনারা যারা সভায় এসেছেন তারা কতজন মাছ মাংস ডিম খান, হাত তুলুন। বলা হচ্ছে মাছ খেলে দেশ বিরোধী। আপনি দেখেছেন কখনও এমন জিনিস! শান্তনু ঠাকুর এক প্রতিবাদ করেছেন? করতে পারেননি কারণ তাঁর টিকি বাঁধা দিল্লিতে। মমতাবালা ঠাকুর হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে শপথ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তার শপথ আটকে দেওয়া হয়েছে। যারা হরিছাঁদ ঠাকুরকে অবজ্ঞা করে তাদের আগামী দিন জবাব দেবেন না?


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, যারা একবুক আশা আকাঙ্খা নিয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিলেন তারা দেখছেন নাগরিকত্ব নিয়ে বিজেপি আপনাদের সঙ্গে ভাঁওতা ছাড়া আর কিছুই করেনি। এরা বলেছিল তৃণমূল চায় না আপনারা নাগরিকত্ব পান। গত ১১ মার্চ ভোট ঘোষণা হওয়ার ৫ দিন আগে নাগরিকত্ব দেব বলে এরা বিল এনেছিল। তার পর ২ মাস কেটে গিয়েছে। বলুন তো তৃণমূল কাউকে ফর্ম ফিলআপের আটকেছে। কিন্তু আপনারা দেখান কোনও বিজেপি নেতা নাগরিকত্বের জন্য কোনও আবাদেন করেছে? দেখাতে পারবেন না। দুদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সভা করে বলেছেন মতুয়ারা সবাই শরনার্থী। আর আমরা বলছি মতুয়ারা সবাই দেশের নাগরিক। এটাই ওদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য। অনেক দেশ রয়েছে পৃথিবীতে যারা শরনার্থীদের আশ্রয় দেয়,খাওয়ার ব্যবস্থা করে। তাদের রোশন কার্ড হয় না, প্য়ান কার্ড হয় না। আপনারা বলুন আপনারা ভোটে দেন কিনা, রেশন কার্ড আছে কিনা, সরকারি পরিষবা পাচ্ছেন কিনা? আপানাদের লক্ষ্ণীর ভান্ডার দেওয়া হচ্ছে কিনা? আমি মনে করি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর যে অধিকার রয়েছে মতুয়াদের সবার একই অধিকার রয়েছে। এরা ভাঁওতা দিয়েছিল। অনেকে এদের প্রতারণার শিকার হয়ে বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। রানাঘাট ও বনগাঁয় বিজেপি জিতেছিল। আমাকে দেখানে ভোট না থাকাকালনীন প্রধানমন্ত্রী একটা সভা করে কোনও প্রকল্প ঘোষণা করেছেন কিনা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিয়েছেন, আর বিজেপি তা বন্ধ করে দিতে চাইচে। যতদিন বাংলায় তৃণমূল আছে ততদিন বুক দিয়ে লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার আগলে রাখব।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)