নিজস্ব প্রতিবেদন: স্বামীর বন্ধু। সেই সূত্রে প্রায়শই যাতায়াত ছিল। প্রথমে স্বামীর উপস্থিতিতে যাওয়াআসা, পরে তাঁর অনুপস্থিতিতেই। ফলে স্বামীর বন্ধুর সঙ্গে গাঢ় হতে থাকে সম্পর্ক। আর সেই সম্পর্ককে পরিণতি দিতেই প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্বামীকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। মনুয়াকাণ্ডের ছায়া ধরা পড়ল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের কালাপেনিয়া গ্রামে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর আঠাশের গোবর্ধন সামন্তের সঙ্গে সমীর বর্মনের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব। সেই সুবাদেই গোবর্ধনের স্ত্রী উমার সঙ্গে পরিচয় হয় সমীরের। গোবর্ধনের বাড়িতে প্রায় রোজই যেত সমীর। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইদানীং সমীরের সঙ্গে উমা বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। গোবর্ধনের বাড়ি না থাকার সুযোগে এরপর উমারে কাছে আসতে শুরু করে সমীর। গোবর্ধনের বাবা বৌমার এই সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। গোবর্ধনকে বিষয়টি জানান তিনি। এরপরই চরমে ওঠে দাম্পত্য কলহ।


আরও পড়ুন: ছেলেমেয়ে বড় হওয়ার আর 'সেই' সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে চাননি গৃহবধূ, অতঃপর...


গোবর্ধনের বাবার মৃত্যুর পর আরও বেপরোয়া ওঠে সমীর ও উমা। অবাধেই মেলামেশা করতে থাকে তারা। গোবর্ধন মানসিক অবসাদে নেশাগ্রস্ত হয়ে ওঠে। রবিবার বাড়ি থেকে সন্ধ্যায় বেরোয় গোবর্ধন। রাতে আর ফিরত আসেনি। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় দু’কিলোমিটার দূরে রাজনগর রামচন্দ্র আদর্শ বিদ্যাপীঠের  স্কুলের পেছনে তার দেহ উদ্ধার হয়।   


প্রতিবেশীদের অভিযোগ, সমীরকে নিয়ে গোবর্ধন ও উমার সঙ্গে রোজই ঝগড়া হত। বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের জন্য গোবর্ধন সমীর ও উমা খুন করেছে বলে অভিযোগ। নন্দকুমার থানার পুলিস ২ জনকে আটক করেছে।