ই গোপী: মঞ্চে তখন বসে দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সভা থেকে রীতিমতো কোমরে দড়ি বেঁধে বের করে নিয়ে যাওয়া হল এক মহিলাকে! এরপরই শুরু হল মারধর! কেন? শহরের হোটেল থেকে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল খড়গপুরে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঠিক কী? এদিন খড়গপুরে বিজেপির রেলওয়ে মজদুর গুদাম ইউনিয়নের সভা ছিল। গোলবাজারের রবীন্দ্র ইনস্টিটিউট হলে দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে তখন সভা চলছে। আচমকাই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শ্রমিক সংগঠনের সদস্য়রা। এরপর দেখা যায়, কোমরে দড়ি বেঁধে টানতে টানতে এক মহিলাকে হলের বাইরে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, হলের আবার তাঁরা ওই মহিলার উপর চড়াও হন। হাত-পা ও কোমরে দড়ি বাঁধা অবস্থায় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে।   


জানা গিয়েছে, আক্রান্ত মহিলার বাড়ি মালদহে। এদিন খড়গপুরে বিজেপি শ্রমিক সংগঠনের সভায় যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। কেন আক্রমণের মুখে পড়লেন? অভিযোগ, রেলে চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই মহিলা নাকি কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁদের কেউ চাকরি পাননি। এদিকে ততদিনে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন অভিযুক্ত। বারবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি চাকরিপ্রার্থীরা। অবশেষে খড়গপুরে দিলীপ ঘোষের সভায় ওই মহিলাকে ধরে ফেলেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: Anupam Hazra: 'বাঙালি কাঁকড়ার জাত, দো-আঁশলা লোক দিয়ে সংগঠন চলবে না!' বিস্ফোরক অনুপম


এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল। দলের সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'কেউ যদি প্রতারণা  করে থাকেন, তাহলে তাঁর জন্য আইন রয়েছে। দিলীপবাবু ও ভারতীয় জনতা পার্টি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে করতে এখন অবলীলায় আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছেন'। তাঁর হুঁশিয়ারি, 'বিভিন্ন রিপোর্টে আমরা দেখেছি, বিজেপি জমানায় কীভাবে বিভিন্ন রাজ্য়ের নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়়ছে। আজকের দৃশ্যও সারা ভারতবর্ষ দেখল। আমি মনে করি, মহিলা যোগ্য দিয়ে দেবেন'।


এর আগে, কলকাতায় এক ব্যক্তিকে উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড ঘটে বিজেপির সভায়। নাম, সব্যসাচী রায়চৌধুরী।  ২৭ অগস্ট, শনিবার আইসিসিআর-এ  গেরুয়াশিবিরে বৈঠকে ছিলেন তিনি। দলের যুবনেতা ও কর্মীদের একাংশের দাবি, সব্যসাচী তৃণমূল নেতা। নিজেকে সিবিআই অফিসার পরিচয় দিয়ে টাকা তোলেন!  আইসিসিআর প্রেক্ষাগৃহ সব্যসাচীকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনেন বিজেপির যুব মোর্চার দক্ষিণ কলকাতার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অভিজিত্ নাহা। রীতিমতো চিৎকার করতে থাকেন,  'তৃণমূলের এজেন্ট হয়ে এই লোকটা এখানে কী করছে? এই লোকটার কাজ ভুয়ো পরিচয় দিয়ে বেকারদের কাছ থেকে টাকা তোলা'। শুরু হয়ে যায় ধস্তাধস্তি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)