নিজস্ব প্রতিবেদন : স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন বধূ। দীর্ঘক্ষণ শ্বশুরবাড়ির সামনে ধরনায় বসে থাকার পর অবশেষে খবর পেয়ে পুলিশ এসে উভয় পক্ষকে নিয়ে যায় থানায়। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কোন্নগর এলাকার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বছর দুয়েক আগে প্রেম করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করে দাসপুর থানার গোপালপুর গ্রামের তনুশ্রী কান্ডার ও পাশের গ্রাম কলাগেছিয়ার আকাশ ধাড়া। তনুশ্রী সুন্দরী, শিক্ষিতা, মাস্টার ডিগ্রি করেছেন। আকাশ স্বনির্ভর নন। ছোটবেলা থেকে দুই জনের বন্ধুত্ব। তাই পাত্র স্বনির্ভর না হলেও সামাজিক প্রথার বিপরীতেই ২০১৮ সালে বাড়ির অমতে বিয়ে করেন তাঁরা। তনুশ্রীকে বিয়ে করে আকাশ দীর্ঘ দুই বছর ধরে তনুশ্রীর বাড়িতে থাকতেন। সেখানেই নিজের পড়াশোনা চালিয়ে য়ায় আকাশ। আকাশের  পরিবারের লোক এই বিয়ে মেনে নেননি। আকাশের বাবা আনন্দ ধাড়া পেশায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী। তনুশ্রীর বাবা রঘুনাথ কান্ডার পেশায় ফার্নিচার মিস্ত্রী। 


এই ভাবে দুই বছর চলার পর অবশেষে কয়েক মাস আগে আকাশ হঠাৎ  শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে আসে তার বাবার কাছে। তনুশ্রীর সঙ্গে আকাশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।


অনেক চেষ্টার পর অবশেষে আকাশের সাথে তনুশ্রী যোগাযোগ করলে জানতে পারে আকাশের বাড়ির লোক তনুশ্রীকে মেনে নিতে নারাজ। 


বর্তমানে দাসপুরের বাড়ি ছেড়ে ঘাটালের কোন্নগরে আকাশ বাবা-মায়ের সাথে থাকতে শুরু করেছে। কিন্তু বারবার আকাশের বাড়িতে তনুশ্রী আসলেও তাঁকে বাড়ি থেকে জোর জোরপূর্বক বের করে দেওয়ার অভিযোগ আকাশ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। 


শেষমেষ কোনও উপায় না পেয়ে বুধবার সকালে আকাশের বাড়ির সামনে এসে ধরনায় বসেন তনুশ্রী। তাঁর দাবি, তাঁকে মেনে নিতে হবে আকাশ ও তাঁর বাড়ির লোককে। তা না হলে তিনি ঠায় বসে থাকবেন।


এদিন নববধূর সাজে সেজেছিল তনুশ্রী। সাথে ছিল সমস্ত পরিচয় পত্র। ছিল দুই বছর আগের বিয়ের সমস্ত ছবি।


এদিন তনুশ্রী আকাশের বাড়িতে আসলেই আকাশের বাবা-মা দরজায় তালা দিয়ে দেন। গেটের বাইরে ধরনায় বসে থাকেন তনুশ্রী। 


বুধবার সকাল থেকে আকাশের বাড়ির সামনে নববধূর সাজে তনুশ্রী একা বসে, তাই দেখে উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করে পথ চলতি মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ঘাটাল থানার পুলিস। পুলিস দীর্ঘক্ষণ ধরে আকাশের বাবাকে তনুশ্রীকে মেনে নেওয়ার কথা বলে। কিন্তু তাঁরা মানতে নারাজ। তাঁদের একটাই দাবি, জোরপূর্বক বিয়ে দিয়েছেন তনুশ্রীর পরিবারের লোক, কোনোমতেই তারা মেনে নেবেন না। শেষমেশ কোনও উপায় না দেখে ঘাটাল থানার পুলিস উভয়পক্ষকে নিয়ে যায় ঘাটাল থানায়। আর ততক্ষণে এলাকায় লোক জড়ো হয়ে যায়।