নিজস্ব প্রতিবেদন : ডাক্তারের পরামর্শে গর্ভপাত করাতে গিয়েছিলেন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরিণতি হল মর্মান্তিক। প্রথম দফায় অস্ত্রোপচারের সময় ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল ভ্রূণ। তারপর সেই অবস্থাতেই দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের সময় ওটি টেবিলেই মৃত্যু হল ওই মহিলার। নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, গুপ্তধনের সন্ধানে! ঘরের মেঝের নীচেই নাকি 'লুকিয়ে' বহুমূল্য ধাতু, তারপর...


মাস ছয়েকের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন মহিলা। পেটে প্রায়ই যন্ত্রণা হত। অভিযোগ, চিকিত্সকই তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন গর্ভপাত করাতে। চিকিত্সকের পরামর্শ মতো কোচবিহারের মাথাভাঙার একটি নার্সিংহোমে অস্ত্রোপচার শুরু হয়। কিন্তু শুরুতেই বাঁধে বিপত্তি। টেনে বের করার চেষ্টা করতেই প্রথমে ভ্রূণের মাথাটি ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে। তারপর একে একে ছিঁড়ে ছিঁড়ে বেরিয়ে আসে ভ্রূণের হাত, পা-ও। অসহ্য যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়েন মহিলা।


এদিকে সেই অবস্থাতেই দ্বিতীয় দফায় ফের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সক। দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের সময়ই প্রবল রক্তক্ষরণের ফলে ওটি টেবিলে নেতিয়ে পড়েন মহিলা। ওটি টেবিলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনা ঘিরে প্রশ্নের মুখে চিকিত্সকের ভূমিকা।


আরও পড়ুন, ঠান্ডা পানীয় দেন গৃহকত্রী! তারপর... বকেয়া টাকা চাইতে গিয়ে বীভত্স অভিজ্ঞতা


প্রসঙ্গত, ভারতে গর্ভধারণের ১২ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত আইনসিদ্ধ। তারপর গর্ভপাতের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি জরুরি। চিকিত্সাজনিত কোনও কারণে গর্ভপাত যদি আবশ্যিক হয়, তবে আদালত-ই একমাত্র তার অনুমতি দিতে পারে। কিন্তু, সেটাও হতে হবে গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহের মধ্যে। এরপর গর্ভপাত আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু এক্ষেত্রে গর্ভধারণ ৬ মাস অর্থাত্ ২৪ সপ্তাহ পর গর্ভপাত করানো হয়। ফলে এক্ষেত্রে চিকিত্সকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।  


আরও পড়ুন, বাইকে আত্মীয়ের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার নামে কিশোরীকে 'অপহরণ' করে গণধর্ষণ ৪ বন্ধুর


পরিবারের অভিযোগ, নার্সিংহোমে কোনও উপযুক্ত পরিকাঠামো ছিল না। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী।