নিজস্ব প্রতিবেদন: এনআরএস কান্ডে তোলপাড় চিকিৎসক মহল। ফের নিগ্রহের শিকার হবু চিকিৎসক। কার্যত ক্ষোভে ফুঁসছেন গোটা রাজ্য। শহর থেকে জেলায় কর্মবিরতিতে বসেছেন সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রত্যেকেই। কর্মবিরতির তালিকায় রয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আরজিকর, শম্ভুনাথ পণ্ডিত, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন হাসপাতাল, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ এবং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ। শুধুমাত্র আউটডোর খোলা রেখে জরুরি বিভাগ এবং অন্যান্য বিভাগ বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: NRS-এর জখম জুনিয়র ডাক্তারের মাথার চোট গুরুতর, আজই অস্ত্রোপচার


একেরপর এক চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনায় প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। কার্যত অসহায় বোধ করছেন বলেই জানাচ্ছেন ইন্টার্নরা। তাঁদের কথায় "রোগীদের জন্য আমরা সমব্যথী, তবে যেখানে নিজেদের প্রাণেরই কোনও নিশ্চয়তা নেই সেখানে অন্যদের কীভাবে বাঁচাব আমরা।" অন্যদিকে চিকিৎসকরা অর্জুন দাসগুপ্ত জানিয়েছেন " ইতিমধ্যেই প্রচুর ফোন পেয়েছি। আমরা ওদের কর্মবিরতিকে সমর্থন করছি। গত দুবছরে ২০০-রও বেশি আক্রমণ নেমে এসেছে চিকিৎসকদের ওপর। গত ২ অগাস্ট মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বৈঠক করেছিলাম আমরা। সেখানে একাধিক প্রতিশ্রুতি পেলেও তার কোনওটাই বাস্তবায়িত হয়নি। সুতরাং যা হওয়ার তাই হয়েছে। এমনকী চলতি সপ্তাহেও আমরা স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে দেখা করে একই কথা বলেছি। তিনিও বিভিন্ন আশ্বাস দিলেও কোনও কাজ হয়নি।" ডাঃ অর্জুন দাসগুপ্ত আরও জানিয়েছেন, শেষ বৈঠকে একেবারে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছিল চিকিৎসকদের সিকিওরিটি, সিসিটিভি ক্যামেরা, পুলিস মোতায়েন-সহ সমস্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে এলসিডি স্ক্রিনে সচেতনতা প্রচার করা হবে। তবে এসবের কিছুই হয়নি। তাঁর স্পষ্ট বার্তা চিকিৎসক মহল একবার বেঁকে বসলে পরিস্থিতির বদল হতে পারে।



উল্লেখ্য, আর কিছুক্ষণের মধ্যেই এনআরএসে পৌঁছাবেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের সদস্যরা।