নিজস্ব প্রতিবেদন: কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রী চপার থেকে নামার পর স্বাগত জানানোর জন্য রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। অথচ ওই চত্বরেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের মুখ্যসচিব। এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। তাঁর দাবি, রাজ্যের প্রতিনিধিদের জন্য আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রীদের।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


কলাইকুণ্ডায় এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাঁর হাতে ক্ষয়ক্ষতি সম্বলিত ফাইল দিয়ে চলে যান দিঘার প্রশাসনিক বৈঠকে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেছেন,''প্রধানমন্ত্রী আসবেন জানতাম না। আমাদের দিঘায় অনুষ্ঠান ছিল। কলাইকুণ্ডায় গিয়ে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার একটা রিপোর্ট হাতে তুলে দিয়েছি। বলেছি, এটা আমাদের রিপোর্ট। আপনি যা ভালো বুঝবেন তাই করবেন।'' অমিত মালব্যর (Amit Malviya) বক্তব্য,''কলাইকুণ্ডায় রাজ্যের প্রতিনিধিদের জন্য আধ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী, রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রীদের। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত এক তাড়া কাগজ নিয়ে আচমকা ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে ঢোকেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তাঁর অন্য কাজ আছে। শুধু তাই নয়, বৈঠকে মুখ্যসচিব বা স্বরাষ্ট্রসচিবকেও থাকার অনুমতি দেননি মুখ্যমন্ত্রী।'' 


        


প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী রাজনীতি করছেন মমতা, অভিযোগ বিজেপি নেতার। তাঁর কথায়,''পশ্চিমবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনার জন্য সময় বের করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর হীনমন্যতার রাজনীতির কারণে তা বাধাপ্রাপ্ত হল। তাঁর ধৃষ্টতাপূর্ণ আচরণের জন্য বঞ্চিত হচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। ভারতের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী এমন ঘৃণ্য, অসম্মানজনক ও দাম্ভিক আচরণ করেননি।''


আরও পড়ুন- না চাইতেও ওড়িশাকে ৫০০ কোটি, ক্ষয়ক্ষতি যাচাইয়ের পর ৫০০ কোটি পাবে বাংলা-ঝাড়খণ্ড