নিজস্ব প্রতিবেদন: ইয়াসের দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন। হলদি নদীর জলে ভেসে গিয়েছে আশেপাশের এলাকা। পূর্ব মেদিনীপুরের রায়রায়চক, রাজারচক এলাকায় ত্রাণশিবিরের আশ্রয় নিতে হল প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষকে। তাজপুর, মান্দারমনি, শংকরপুর, চাঁদপুরে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস কমেনি এখনও। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের দাপট আর নেই। অতি শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড় এখন শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। ওড়িশা থেকে ঝাড়খণ্ড যাওয়ার পথে ঘটিয়েছে ব্যাপক বৃষ্টিপাত। বৃহস্পতিবার দিনভর দক্ষিণবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুত্‍-সহ ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। কিন্তু ঘটনা হল, গতকাল এই ইয়াসের তাণ্ডবে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী এলাকায়।


আরও পড়ুন: কাকভোরে ধেয়ে এল প্রবল ঘূর্ণিঝড়, লন্ডভন্ড চাকদা-শান্তিপুরের বেশকিছু এলাকা


জানা গিয়েছে, ঘুর্ণিঝড়ে হলদি নদীর বাঁধ ভেঙে জল ঢুকেছে রায়রায়চক, রাজারচক এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়িঘর। মাথার উপরে ছাদ হারিয়েছেন পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ। স্থানীয় ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ESI হাসপাতালে ত্রাণশিবিরের খুলেছে প্রশাসন। সেখানেই আশ্রয় নিয়েছেন সকলকে।  দুর্ভোগ কমেনি তাজপুর, মান্দারমনি, শংকরপুর, চাঁদপুরেও। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। ঝড়ের সময়ে প্রাণ বাঁচাতে যাঁরা ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফিরতে পারেননি এখনও। কবে ফিরতে পারবেন, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ, এলাকা থেকে জল নামেনি এতটুকু! উল্টে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস চলছে এখনও। প্রশাসনের তরফে দুর্গতদের ত্রাণ ও খাবার বিলির ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েকটি স্কুলবাড়িতে চলছে ত্রাণশিবির