নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কে বেশ কয়েকবার দুজন শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হয়েছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েই একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছিল যুবক। কিন্তু, তারপর বিয়েতে অস্বীকার করে সে। ওই ছাত্রীকে বিয়ে করতে বেঁকে বসে অভিযুক্ত যুবক। অভিযোগ, এবার ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে টানা ৩ দিন ধরে ধর্ষণ করল অভিযুক্ত। তারপর বাড়ির সামনেই ফেলে দিয়ে যায় তাকে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার হরিশচন্দ্রপুরে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মালদার হরিশচন্দ্রপুরের রণথল গ্রামের বাসিন্দা কয়েস আলি। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এলাকার এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে কয়েস। তারপর ওই কিশোরীর সঙ্গে শারীররিকভাবেও ঘনিষ্ঠ হয়। নির্যাতিতা কিশোরীর মা জানিয়েছেন, যুগলের সম্পর্কের কথা বাড়িতে জানাজানি হতেই তাঁরা দুজনকে বিয়ে দেবেন বলে স্থির করেন। কয়েস তাকে বিয়ে করতে রাজি আছে বলে বাড়িতে জানায় ওই কিশোরীও।


আরও পড়ুন, এম.এ পাস করে রাজমিস্ত্রির কাজে কেরালা পাড়ি, ঘরে ফিরছে নিথর দেহ


কিন্তু সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ার পর যেই কিশোরীর বাড়ি থেকে কয়েসকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়, তখনই বেঁকে বসে কয়েস। বিয়ে করতে অস্বীকার করে সে। এরপরই চলতি বছর জুন মাসে কয়েস আলির বিরুদ্ধে বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগে পুলিসের দ্বারস্থ হয় ওই কিশোরীর পরিবার। কিশোরীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েস আলিকে গ্রেফতারও করে পুলিস।


বেশ কিছুদিন সংশোধনাগারে থাকার পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পায় কয়েস। অভিযোগ, তারপর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য ছাত্রীর পরিবারকে হুমকি দিতে থাকে সে। নানাভাবে চাপ দিতে থাকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য। কিন্তু কয়েসের কথা মতো অভিযোগ তুলে নিতে রাজি হয়নি ছাত্রীর পরিবার। অভিযোগ, এরপরই ওই কিশোরীকে অপহরণ করে কয়েস।


আরও পড়ুন, ৩ মেয়ে! স্ত্রী-শিশুকন্যাকে ঘরে আটকে কেরোসিন ঢেলে জ্বালিয়ে দিল বাবা


১৩ অগাস্ট বিকালে টিউশন যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ, সেইসময়ই তাকে অপহরণ করে কয়েস। তারপর একটা বন্ধ ঘরে ওই কিশোরীকে আটকে রেখে ৩ দিন ধরে লাগাতার তাকে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। চরম নির্যাতনের শিকার হয় ওই কিশোরী। গুরুতর জখম হয় সে। ৩ দিন ধরে নাগাড়ে ধর্ষণের ফলে কিশোরীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই তারপর ওই ছাত্রীকে তার বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যায় অভিযুক্ত কয়েস আলি।


আরও পড়ুন, সারদা দুর্নীতিতে রাজীব কুমার সহ ৪ আইপিএস কর্তাকে তলব সিবিআই-এর


বাড়ির সামনে থেকে অচৈতন্য অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাড়ির লোক। কিন্তু এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিস অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে দাবি তাঁদের। শেষপর্যন্ত এই ঘটনায় মালদা পুলিস সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন নির্যাতিতা কিশোরীর বাড়ির লোক। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তের যথোপযুক্ত শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন পুলিস সুপার।