নিজস্ব প্রতিবেদন : মেয়ের গলা নকল করে ১২ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতের নাম রনি দাস। পছন্দের পাত্রী খুঁজে পেতে ম্যাট্রিমনি সাইটে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ব্যান্ডেলের এক যুবক। ধৃত রনি দাস পাত্রী সেজে দীপঙ্কর দে নামে ব্যান্ডেলের বাসিন্দা ওই যুবকের সঙ্গে প্রতারণা করেন। নানা অছিলায় তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। শেষমেশ ঠাকুরপুকুর থেকে অভিযুক্ত রনি দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বছর দুয়েক আগে একটি ম্যাট্রিমনি সাইটে নাম নথিভুক্ত করেছিলেন ব্যান্ডেলের  যুবক দীপঙ্কর দে। তানিয়া রায়ের সঙ্গে তাঁর সেখানেই পরিচয় হয়। তানিয়ার ছবি দেখে পছন্দ হওয়ায় বিয়ের কথাবার্তা এগোতে থাকেন নামী বেসরকারী সংস্থার কর্মী ব্যান্ডেলের ওই যুবক। অভিযোগ, তানিয়া রায় নামে ওই যুবতী তাঁকে জানিয়েছিলন পার্শ্বশিক্ষকের চাকরি করেন তিনি। তবে তাঁর পারিবারিক অবস্থা ভালো না। এরপরই কখনও মা, কখনও মাসি অসুস্থ বলে দফায় দফায় ১২ লাখ টাকা দীপঙ্কর দে-র থেকে হাতিয়ে নেন ওই তানিয়া রায়। পেটিএম-এর মাধ্যমে সেই টাকা দিয়েছিলেন দীপঙ্কর দে।


এরপর ধীরে ধীরে সামনে আসে আসল গল্প। একদিন সন্দেহ হওয়ায় তানিয়া রায়ের কাছে টাকা ফেরত চান দীপঙ্কর দে। আর টাকা ফেরত চাইতেই গত দু মাস ধরে সমস্তরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তানিয়া রায়। তারপরই গত জুন মাসে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত দীপঙ্কর দে। পেটিএম অ্যাকাউন্ট, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস খতিয়ে দেখে ও মোবাইলের লোকেশন ট্র্যাক করে শেষমেষ অভিযুক্তের খোঁজ পায় পুলিস। সোমবার রাতে ঠাকুরপুকুরের খান মহম্মদ রোড থেকে অভিযুক্ত রনি দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস।


আরও পড়ুন, কেবিনে 'ঘনিষ্ঠ' যুবক-যুবতী! পুলিসি অভিযানে তারকেশ্বরের রেস্তরাঁয় মধুচক্রের পর্দাফাঁস


পুলিস সূত্রে খবর, জেরায় নিজের দোষ কবুল করেছে ধৃত। জেরায় বছর তেইশের রনি স্বীকার করেছেন যে,  শুধু ব্যান্ডেলের দীপঙ্কর দে নয়, এরকম আরও ৮-১০ জনকে একইরকমভাবে মেয়ে সেজে প্রতারণা করেছেন তিনি। ম্যাট্রিমনি সাইটে মেয়েদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলতেন। তারপর ফেসবুক থেকে সুন্দরী তরুণীদের ছবি সংগ্রহ করে সেগুলি প্রোফাইলে ব্যবহার করতেন। তারপর মেয়েদের গলা নকল করে ফোন করতেন। হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করতেন। তারপর নানা অছিলায় টাকা হাতিয়ে নিতেন।