হাসপাতাল কর্মীর ছদ্মবেশে হাতসাফাই, সরকারি হাসপাতালে ছিনতাইরাজ
সুপার এসে দেখলে, বকাবকি করবেন বলেও ভয় দেখানো চলছে রোগীদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাড়ি বা রাস্তায় পিস্তল দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা হামেশাই শোনা যায়। কিন্তু এবার একেবারে অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা ঘটল সিউড়িতে। হাসপাতাল কর্মীর পরিচয় দিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল সরকারি হাসপাতালের ভিতর। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্মী পরিচয় দিয়ে মহিলা ওয়ার্ডের ভিতর ঢুকে ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে একদল দুষ্কৃতী।
ধোপদুরস্ত পোশাক। হাসপাতালে এসেই বেছে বেছে তারা টার্গেট করছে মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডগুলি। ওয়ার্ডের ভিতর ঢুকে তারপর কড়া গলায় চলছে ধমক দেওয়ার পালা। কারোর কাছে মোবাইল রয়েছে দেখতে পেলে বলা হচ্ছে, ওয়ার্ডের ভিতর মোবাইল রাখা যাবে। কারোর গলায় সোনার চেন দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে কড়া ধমক, ওয়ার্ডের ভিতর এসব পরে কেন? এসব গয়নাগাটি পরে ওয়ার্ডের ভিতর থাকা যাবে না। সুপার এসে দেখলে, বকাবকি করবেন বলেও ভয় দেখানো চলছে রোগীদের। তারপরই রোগীদের কাছ থেকে তাঁদের সঙ্গে থাকা মোবাইল, গয়না হাসপাতালে জমা দেওয়া নামে চেয়ে নিচ্ছে ছিনতাইবাজরা।
আরও পড়ুন, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল স্ত্রী, মেয়ের জন্য ফিরিয়ে আনার পরই চরম পরিণতি স্বামীর
ব্যস, হাতে মোবাইল, গয়নাগাটি চলে আসতেই ছিনতাইবাজদের উদ্দেশ্য সফল। কার্যসিদ্ধি হতেই সোজা জিনিসপত্র নিয়ে হাসপাতাল চত্বর থেকে চম্পট। সবাইকে ধোঁকা দিয়ে রীতিমতো হেঁটেই হাসপাতাল থেকে ধা হয়ে যাচ্ছে তারা। এভাবেই চলছিল কারবার। এদিন সিউড়ি সদর হাসপাতালে হাতেনাতে এক মোবাইল চোরকে ধরে ফেলেন রোগীর আত্মীয়রা।
আরও পড়ুন, স্ত্রীর বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কের জের, ফেসবুকে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী মালদার যুবক
তাঁদের অভিযোগ, হাসপাতালের ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা-ই এরজন্য দায়ী। এদিন গণপিটুনি দিয়ে ওই মোবাইল চোরকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীর আত্মীয়দের অভিযোগ, পুলিস কোনও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না। কিছুক্ষণ আটকে রেখেই ছেড়ে দিচ্ছে। আর তারফলেই এভাবে দিনের পর দিন ধরে রোগীদের ধোঁকা বানিয়ে হাসপাতালে ছিনতাই কারবার চালিয়ে যাচ্ছে দুষ্কৃতীরা।