নিজস্ব প্রতিবেদন : ত্রিকোণ প্রেমের জের। যুবককে খুন করে পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বন্ধুর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার করিমপুরে। মাটি খুঁড়ে নিহত যুবকের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। অন্যদিকে, খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩ জনকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নদিয়ার করিমপুরের কাছে হোগলবেড়িয়ার আরবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন নিহত যুবক অমিয় বিশ্বাস। জানা গিয়েছে, গত তিনদিন ধরেই নিখোঁজ ছিলেন বছর তিরিশের অমিয় বিশ্বাস। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর খোঁজখবর শুরু করে হোগলবেড়িয়া থানার পুলিস। তখনই আটক করা হয় অমিয় বিশ্বাসের 'ঘনিষ্ঠ' অনিমেষ মণ্ডল নামে এক যুবককে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সামনে আসে আসল ঘটনা। পুলিস জানতে পারে, অমিয় বিশ্বাসকে খুন করে জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এরপরই মেঘনা গ্রামের জঙ্গলে মাটি খুঁড়ে অমিয় বিশ্বাসের দেহ উদ্ধার করে পুলিস।


বাবা অসিত বিশ্বাসের অভিযোগ, পাশের গ্রাম রাজাপুরের বাসিন্দা এক কিশোরীর সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে' জড়িয়ে পড়েছিল দুই বন্ধু, তাঁর ছেলে অমিয় বিশ্বাস ও মূল অভিযুক্ত অনিমেষ মণ্ডল। ওই কিশোরীর সঙ্গে বিয়ের কথা ছিল অমিয়র। এদিকে ওই কিশোরীকে পছন্দ করত অনিমেষও। এই ত্রিকোণ প্রেমকে ঘিরেই দুই বন্ধুর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। পাশাপাশি, অমিয়র সঙ্গে একসঙ্গে ব্যবসাও করত অনিমেষ। সেই ব্যবসার বিষয়ে অমিয়র কাছে অনিমেষের ৭০ হাজার টাকা পাওনা হয়েছিল। বকেয়া সেই টাকা নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা বাঁধে। তারপরই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় অমিয় বিশ্বাসকে।


আরও পড়ুন, সোমবার থেকে বন্ধ কলেজ স্কোয়্যারে সাঁতার, কিশোরের মৃত্যুতে কড়া পুরসভা


পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে মূল অভিযুক্ত অনিমেষ মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিস। পুলিসি জেরায় তিনদিন আগে তিন বন্ধু মিলে অমিয়কে খুন করার কথা কবুল করে ধৃত অনিমেষ মণ্ডল। খুন করে দেহ জঙ্গলে পুঁতে দেওয়ার কথা জানায় সে। এরপরই মাটি খুঁড়ে দেহ উদ্ধার করে পুলিস। পাশাপাশি, খুনে জড়িত আরও ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আজ ধৃতদের তেহট্ট আদালতে তোলা হয়।