নিজস্ব প্রতিবেদন : বাড়ির সামনে থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটায়। মৃতের নাম সৌরভ দলুই। নিহতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। নিহতের পরিবারের দাবি, তাঁদের ছেলেকে খুনের পিছনে হাত রয়েছে পুত্রবধূর 'প্রেমিক'-এর। বিয়ের আগে থেকেই অভিযুক্ত 'প্রেমিক' তাঁদের পুত্রবধূকে নানাভাবে উত্যক্ত করত। বিয়ের পরেও বেশ কয়েকবার তাঁদের পুত্রবধূকে কুপ্রস্তাব দেয় অভিযুক্ত। সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় সৌরভের স্ত্রী। আর সেই আক্রোশেই অভিযুক্ত 'প্রেমিক' খুন করেছে সৌরভকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুতাহাটার হরিণভাষার বাসিন্দা ছিলেন সৌরভ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন বছর আগে পাশের গ্রাম সাহাপুরের বাসিন্দা সুদীপ্তার সঙ্গে বিয়ে হয় সৌরভ দলুইয়ের। বিয়ের পর বেশ কিছু দিন সুখেই চলছিল সংসার পর্ব। বিয়ের পরও পড়াশোনা চালিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক ছিল স্ত্রী সুদীপ্তা। মেধাবী সুদীপ্তার রেজাল্টও ভালো ছিল। তাই সৌরভ তাকে স্থানীয় একটি কলেজে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলেন। পরিবারের অভিযোগ, সুদীপ্তা কলেজে যাওয়া শুরু করতেই ফের তাঁকে উত্যক্ত করতে শুরু করে অভিযুক্ত 'প্রেমিক' অতনু মাইতি।



বিয়ের আগে থেকেই অতনু মাইতি, সৌরভ ও সুদীপ্তার পরিচিত ছিল। সুতাহাটারই বাসিন্দা অতনু মাইতি বিয়ের আগেও অনেকবার সুদীপ্তাকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় সুদীপ্তা। বিয়ে করে সৌরভকে। এরপর সুদীপ্তা আবার কলেজ যাওয়া শুরু করলে, আবার তাঁকে উত্যক্ত করতে শুরু করে অতনু। এই নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্কের খানিক টানাপোড়েনও শুরু হয় বলে দাবি করেছে নিহতের পরিবার। নিহতের বাবা জানান, শেষে স্ত্রী সুদীপ্তাকে নিজেই কলেজে দিয়ে আসতে ও কলেজ থেকে নিয়ে আসতে শুরু করেছিল সৌরভ। ইতিমধ্যে দম্পতির এক কন্যাসন্তানও হয়।


এরপর গতকাল বিকেলবেলা বাড়ি থেকে বেরন সৌরভ। সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হয়ে গেলেও আর বাড়ি ফেরেনি সে। স্ত্রী সুদীপ্তা তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। শেষে আজ সকালে এলাকারই একটি কালভার্টের নীচে উদ্ধার হয় সৌরভের দেহ। রক্তাক্ত অবস্থায় সৌরভের দেহটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরাই নিহতের বাড়িতে খবর দেন। মৃতের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ভারী কিছু দিয়ে মাথায় আঘাত করেই সৌরভকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান।


আরও পড়ুন, আইফোন 'বাঁচাতে' ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে চলন্ত ট্রেন থেকে মরণঝাঁপ, মৃত্যু যুবকের


এই ঘটনায় নিহত সৌরভের বাবা পুত্রবধূর 'প্রেমিক' অতনু মাইতির বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ করেছেন। ৬ জনের নামে সুতাহাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে সুতাহাটা থানার পুলিস। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।