নিজস্ব প্রতিবেদন : বন্ধুকে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের আলমগঞ্জের একটি চালকলে। মৃতের নাম টুটুল মণ্ডল (২১)। অভিযুক্ত বন্ধুর নাম বিকাশ চন্দ্র গড়াই। জানা গিয়েছে, কর্মক্ষেত্রে রেষারেষির জেরেই বন্ধুকে খুন করেছে বিকাশ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


দুই বন্ধুরই বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ার কাতুরি গ্রামে। চালকল কর্মী নির্মল শ্যাম জানিয়েছেন, বুধবার রাতে  টুটুল ও সজল বলে দুই যুবক মিলের গেটের পাশে বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় অভিযুক্ত বিকাশ তাঁর মোবাইলে পেটিএমে খুলে দেওয়ার জন্য টুটুলকে ডাকেন। টুটুল বিকাশের সাথে দেখা করতে গেলে সজল বাড়ি ফিরে যান। খানিক পর সজল রাতের খাবার খাওয়ার জন্য টুটুলকে ডাকতে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে টুটুলের নিথর দেহ। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় বর্ধমান থানায়। খবর পেয়ে পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।


এরপরই আজ সকালে সটান বর্ধমান থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন বিকাশ। জানা গিয়েছে, বছর দশেক ধরে আলমগঞ্জের ওই রাইসমিলে শ্রমিকের কাজ করছেন বিকাশ। মাস আটক আগে বিকাশই রাইসমিলে কাজের জন্য টুটুলকে গ্রাম থেকে নিয়ে আসেন। টুটুল প্রথমে শ্রমিক হিসাবে কাজে যোগ দিলেও খুব তাড়াতাড়ি তিনি মালিকের পছন্দের লোক হয়ে ওঠেন। শ্রমিকের পরিবর্তে টুটুলকে অন্য কাজে নিয়োগ করতে থাকেন তিনি। টুটুল লেখাপড়া জানতেন। সেইজন্য অনেক সময়ে তাঁকে হিসাবনিকাশ রাখার দায়িত্বও দেওয়া হতে থাকে। এরপর তাঁকে মিলের সুপারভাইজার পদেও নিয়োগ করা হয়।


আরও পড়ুন, জিয়াগঞ্জে দম্পতি খুনের নেপথ্যে 'তৃতীয় ব্যক্তির' উপস্থিতি? মোবাইলে পাওয়া ছবিতে লুকিয়ে 'রহস্য'


টুটুলের কাকা সুমন মণ্ডল জানিয়েছেন, এই কারণেই টুটুলের উপর ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল বিকাশের। সেই আক্রোশের জেরেই বিকাশ টুটুলকে খুন করে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান। পুলিস সূত্রে খবর, প্রথমে ভারী বস্তু দিয়ে টুটুলের মাথায় আঘাত করা হয়। তারপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয়। পুলিস অভযুক্ত বিকাশকে গ্রেফতার করেছে।