নিজস্ব প্রতিবেদন : গণপিটুনির জেরে যুবক খুনের অভিযোগ উঠল হাওড়ার সালকিয়ার চৌরাস্তায়। অভিযোগ, গাছে বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ওই যুবককে। এদিন সকালে সালকিয়া চৌরাস্তা এলাকায় একটি ক্লাবের মাঠে  ওই যুবকের সংজ্ঞাহীন দেহ উদ্ধার হয়। ক্লাবের মাঠে আমগাছের সঙ্গে বাধা অবস্থায় ছিল দেহটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় মালিপাঁচঘরা থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন হাওড়া সিটি পুলিসের কর্তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে নিহত যুবকের নাম মহম্মদ এরশাদ। নিহত যুবক নদিয়ার বাসিন্দা। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করেছে পুলিস। ইতিমধ্যেই একজনকে আটকও করা হয়েছে।


ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে, জিটি রোড লাগোয়া ক্লাবের মাঠে একটি গুদাম রয়েছে। যেটি গ্রেট ইস্টার্ন কোম্পানিকে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ইলেকট্রনিকস সামগ্রী রাখা হত। প্রতি রাতে চার-পাচঁজন যুবক সেই গুদামে থাকত। সকালে সেই গুদাম থেকে মালপত্র ডেলিভারি কর হত। জানা গিয়েছে, এই যুবকদের সঙ্গেই বচসা হয়েছিল মহম্মদ এরশাদের। আর তা থেকেই গণপিটুনি।


আরও পড়ুন, পুরভোটের আগে দলীয় সমীক্ষায় তৃণমূল, শুরু হচ্ছে 'দিদিকে বলো'র পরবর্তী ধাপ


কিন্তু কী কারণে গণপিটুনি দেওয়া হল এরশাদকে? অভিযুক্তদের পরিচিত ছিল এরশাদ। ধৃতের দাবি জিনিসপত্র চুরি করেছিল এরশাদ। তা নিয়েই বচসার সূত্রপাত। ধৃতের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গণপিটুনির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ধৃতকে জিজ্ঞাসা করে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিস।


উল্লেখ্য, রাজ্যে গণপিটুনি রোধে কড়া আইন এনেছে রাজ্য সরকার। গণপিটুনিতে মৃত্যুর ক্ষেত্রে গণপিটুনি প্রতিরোধ আইনে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।