ওয়েব ডেস্ক: যুব তৃণমূল নেতার আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে। অভিযোগ, নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় অপমানে আত্মঘাতী হন রতন সরকার। পরিবারের দাবি, শ্লীলতাহানির গুজব ছড়িয়ে সালিশি ডেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে স্থানীয় ক্লাব। ক্লাবের দুজন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রতন সরকার। জলপাইগুড়ির জেলা যুব তৃণমূল সম্পাদক। এলাকায় পরিচিত মুখ। তাঁর বিরুদ্ধে এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ। নাবালিকার পরিবারের দাবি, নবমীর দিন ঠাকুর দেখার অছিলায় কিশোরীকে নিয়ে যান রতন সরকার। রাতেই এখবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। রতন সরকারের পরিবারের অভিযোগ, এরপর সালিশির উদ্যোগ নেয় স্থানীয় ক্লাব।


পরিবারের দাবি, অপমান সহ্য করতে পারেননি রতন। রবিবার রাতে আচমকা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। ফেসবুকে পোস্ট করেন, অপমান সহ্য করতে না পেরে আমি ভূষাপাড়া ক্যানেলে সুইসাইড করলাম। রাতেই ক্যানেলের ধার থেকে রতন সরকারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।


তবে ঘটনা ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে-


প্রশ্ন ১: নবমীর রাতের ঘটনা হলেও, একাদশীর রাতে কেন থানায় গেল কিশোরীর পরিবার?


প্রশ্ন ২: মহিলা থানা মেডিক্যাল টেস্টের কথা বললেও, কেন কিশোরীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়নি?


প্রশ্ন ৩: পরিবার যদি পুলিসের যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে স্থানীয় ক্লাব কেন সালিশি বসিয়ে হুমকি দিল? টাকা আদায় করাই কী তাদের মূল লক্ষ্য ছিল?


ছ'জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে রতন সরকারের পরিবার। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কোতওয়ালী থানার পুলিস।