ওয়েব ডেস্ক: ডেডলাইন ২০শে জুলাই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তারপরেও কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সদর্থক সাড়া না মিললে পাহাড় নিয়ে নতুন করে ভাববে GJM। প্রয়োজনে সরাসরি সংঘাতের পথেও যেতে পিছপা হবে না মোর্চা। ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন বিমল গুরুং। দেড়মাস কেটে গেছে। পাহাড় থমকে সেই প্রথম দিনেই। জনজীবন স্তব্ধ। আন্দোলনকে জীবিত রাখতে রোজ নিত্যনতুন প্রতিবাদ। রবিবার পথে নামলেন শিক্ষকরা। তার আগে মিছিল করেন বুদ্ধিজীবীরা। রাজ্য সরকারের দেওয়া সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন পাহাড়ি সঙ্গীতশিল্পী কুমার সুব্বা।রাতের পাহাড়ে নাশকতাও চলছে। শনিবার মধ্যরাতে গাড়িদুরা ফরেস্ট ট্রেনিং সেন্টার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, আসল লক্ষ্যের পথে কতটা এগোন গেল? এই ভাবনা উদ্বেগে রাখছে মোর্চা নেতাদেরও। দেড়মাস কেটে যাওয়ার পরেও পাহাড় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পায়নি মোর্চা।পাহাড় নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বা দার্জিলিংয়ের সাংসদের নীরবতা উদ্বেগে রেখেছে মোর্চা নেতাদের।মোর্চার কাছে খবর রয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর পাহাড় নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার।২০ জুলাই পর্যন্ত একইভাবে পাহাড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তই নিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে তৈরি সমন্বয় কমিটিতেও সেই বার্তাই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে । কিন্তু, বিশে জুলাইয়ের পরেও কেন্দ্র সাড়া না দিলে কী হবে? বিমল গুরুং বলেছেন, যো হুয়া ট্রেলার হ্যায়। পিকচার আভি বাকি হ্যায়? তারপর নিজেরই বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে গুরুং বলেছেন, পাহাড়ে ইতিমধ্যেই ৭ আন্দোলনকারীর মৃত্যু হয়েছে। প্রয়োজনে আরও বলিদানের জন্য পিছপা হবে না মোর্চা। বিমল গুরুংয়ের এই হুঙ্কারকে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না প্রশাসনও। পুলিস কর্তাদের একাংশ বলছে,পাহাড় নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ এবং অতিরিক্ত সেনা পৌছনোর পর বেশ উদ্বিগ্ন মোর্চা নেতারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন শ্বশুরবাড়ির পর এবার হাসপাতালেও গঞ্জনার শিকার কাটোয়ার তরুণীর


বন্‍ধ তুলতে প্রশাসন যে বলপ্রয়োগের পথে যেতে পারে এই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না।অতএব বিমল গুরুং এখন কোণঠাসা। এবং কোণঠাসা মানুষ সবসময়ই ভয়ঙ্কর। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে মোর্চা চূড়ান্ত সংঘাতের পথে যেতে পারে, মনে করছেন পুলিস কর্তারা।মোর্চার সাবেক সশস্ত্র বাহিনী গোর্খাল্যান্ড পার্সোনেলের সদস্যদের 'তৈরি' থাকার নির্দেশ গেছে মোর্চার তরফে। তবে মোর্চা সংঘাতের পথে গেলে, বাকি রাজনৈতিক দলগুলি কতটা পাশে দাঁড়াবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। রবিবারই কার্শিয়ংয়ে এককভাবে মিছিল করেছে GNLF। হিংসাত্মক আন্দোলনে তারা মোর্চার পাশে নেই। জানিয়ে দিয়েছে সুবাস ঘিসিংয়ের দল।


আরও পড়ুন  ব্যবসায়ীদের ডাকে ৪৮ ঘণ্টার ব্যবসা বনধ চলছে রায়গঞ্জে