নিজস্ব প্রতিবেদন : ১৫ জুলাই রাত ২টো বেজে ৫১ মিনিট। চন্দ্রযান-২-কে নিয়ে চাঁদের পথে পাড়ি দেবে ভারতের সব থেকে শক্তিশালী রকেট। জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভিয়েকল মার্ক ৩-এ চড়ে চাঁদের পথে পাড়ি দেবে চন্দ্রযান। রবিবার সকাল ৬টা বেজে ৫১ মিনিট থেকেই লঞ্চের কাউন্টডাউন শুরু করে দিয়েছে ইসরো। ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযানের অভিযানকে সফল করতে তুমুল ব্যস্ততা শ্রীহরিকোটায়। শেষ মূহুর্তের জন্য যাচাই করে নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ। জ্বালানি ভরা হচ্ছে রকেটে। ইসরোর মহাকাশবিজ্ঞানী ড: শিভান বললেন, "চাঁদের যে অংশে এই যান যাবে, সেখানে এর আগে কোনও দেশ পৌঁছতে পারেনি। মহাকাশবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভারতের মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করবে এই অভিযান।"


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৬৪০ টনের রকেট জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভিয়েকল মার্ক ৩(GSLV Mk III) ভারতের সবথেকে শক্তিশালী রকেট। রকেটটি বানাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকা। ৪৪ মিটার উঁচু এই রকেটের উচ্চতা প্রায় ১৫ তলা বিল্ডিং-এর সমান। এই রকেটের একটা ডাকনামও আছে। ভারতের সবথেকে শক্তিশালী রকেটের ডাকনাম 'বাহুবলী'। রকেটের নাম বাহুবলী? জনপ্রিয় দক্ষিণী সিনেমা বাহুবলী-তে কাঁধে পাথরের ভারি শিবলিঙ্গ তুলে নিয়েছিলেন বাহুবলী। চন্দ্রযানকেও যেন অনেকটা সেই ভাবে মহাকাশে নিয়ে যাবে জিএসএলভি। তাই এমন অভিনব নাম রকেটের। 


আরও পড়ুন: ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রযানের নেপথ্যে দুই 'রকেট ওম্যান', চিনে নিন তাঁদের


৩.৮ টনের চন্দ্রযানের ক্যাপসুলে মূল অংশ তিনটি। অর্বিটার, ল্যান্ডার ও রোভার। এদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কাজ আছে। অর্বিটারটি চন্দ্রপৃষ্ঠের ও চাঁদের খনিজের ছবি তুলবে ও ম্যাপিং করবে। ল্যান্ডার অংশের ওজন  ১,৪৭১ কিলোগ্রাম। চাঁদের ভূমিকম্প ও চাঁদের তাপমাত্রা সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ করবে এটি। পাশাপাশি প্রজ্ঞান নামের ২৭ কিলোগ্রামের ছয় চাকার চলমান যানের মাধ্যমে চাঁদের মাটির পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। মূলত, চাঁদের দক্ষিণ প্রান্তে পর্যবেক্ষণ চালাবে প্রজ্ঞান। ১৪ দিন ধরে চাঁদের আধ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সফর করবে এই রোভার।  


১৬ মিনিট উড়ানের পর চন্দ্রযান-২-কে মহাকাশে নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে দেবে বাহুবলী। সেখান থেকে প্রায় ২ মাস ধরে চাঁদের পথে এগোতে থাকবে চন্দ্রযান-২। পথও তো নেহাত কম নয়। পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব প্রায় ৩.৮৪ লক্ষ কিলোমিটার। দুই মাসের যাত্রা শেষে ৬ সেপ্টেম্বর রোভার প্রজ্ঞান-কে নিয়ে চাঁদের মাটিতে সফ্ট ল্যান্ডিং করবে ল্যান্ডার বিক্রম। তার পরেই বেরিয়ে আসবে ছয় চাকার যান প্রজ্ঞান। 


এই অভিযানে সফল হলে চাঁদের মাটিতে যান পাঠানো দেশগুলির তালিকায় চতুর্থ স্থানে উঠে আসবে ভারতের নাম। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চিন যান পাঠিয়েছিল চাঁদের বুকে। তবে সেই দেশগুলির তুলনায় অনেকটাই কম খরচে এই যান বানিয়েছে ভারত।