নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আতঙ্কের আবহে একাধিক ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেমন, মাঝে শোনা গিয়েছিল মদ খেলে বা গায়ে ভাল করে মদ ছিটিয়ে নিয়ে করোনা সংক্রমণের ভয় আর থাকে না। গরম বাড়লে কমে যাবে করোনার প্রকোপ বা বাঁধাকপির উপরেই দীর্ঘক্ষণ টিকে থাকতে পারে করোনাভাইরাস ইত্যাদি একাধিক ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে পড়েছে করোনা নিয়ে। এ সবকে ছাপিয়ে নতুন দাবি ইদানীং ঘোরাফেরা করছে নেট দুনিয়ায়। 5G ইন্টারনেট পরিষেবার মাধ্যমেই নাকি ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, বিগত কয়েক মাসে আয়ারল্যান্ড, সাইপ্রাস, বেলজিয়াম-সহ বেশ কয়েকটি দেশে এই খবরে প্রভাবিত হয়ে প্রচুর 5G স্মার্টফোন ভেঙে ফেলেছেন বা অন্যান্য উপায়ে নষ্ট করে ফেলেছেন অনেকেই। ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ডে একাধিক 5G ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী নেটওয়ার্ক টাওয়ার নষ্ট করারও চেষ্ট চালিয়েছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, 5G ইন্টারনেট পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ইঞ্জিনিয়ারদের উপরেও হালমার ঘটনা ঘটেছে বেশ কয়েক জায়গায়।


পরিস্থিতি সামাল দিতে বাধ্য হয়েই শেষে আসরে নামতে হল রাষ্ট্রসংঘকে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের মুখপাত্র মনিকা গেহনার বুধবার রাষ্ট্রসংঘকে জানিয়েছেন, 5G প্রযুক্তির সঙ্গে করোনাভাইরাসের কোনও সম্পর্কই নেই। গেহনার বলেন, “এটি একটি গুজব যার কোনও প্রযুক্তিগত ভিত্তি নেই।”


আরও পড়ুন: স্মার্টফোনের দামে ইলেকট্রিক স্কুটার! এক চার্জে ছুটবে ৩০ কিলোমিটার


এই ধরনের গুজব রুখতে আগেও একাধিক পদক্ষেপ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। করোনা সংক্রান্ত অন্যান্য গুজবের মতো এটির ক্ষেত্রেও WHO স্পষ্ট করে জানিয়েছে, বেতার প্রযুক্তির তরঙ্গের মাধ্যমে এই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে না। রেডিয়ো তরঙ্গ বা মোবাইল নেটওয়ার্কের তরঙ্গের মাধ্যমেও ভাইরাসের সংক্রমণ সম্ভব নয়। তাই 5G নেটওয়ার্ক তরঙ্গের মাধ্যমেও করোনার ছড়িয়ে পড়ার ভয় একেবারে ভিত্তিহীন! কারণ, 5G নেটওয়ার্ক নেই এমন অসংখ্য দেশেও এই ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।