নিজস্ব প্রতিবেদন: শাস্তি এড়াতে বকেয়া মেটাতে তৎপর তিন টেলিকম সংস্থা। তিন টেলিকম সংস্থার থেকে সরকারের বকেয়া ১ লক্ষ কোটি টাকা, সংস্থার প্রতিনিধি তরফে বলা হয়, তারা শুধুমাত্র আংশিক বকেয়াই মেটাবেন। অন্যদিকে, সরকারি সূত্র তরফে জানা গিয়েছে, ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel), ভোটাফোন আইডিয়া (Vodafone Idea) এবং টাটা টেলিসার্ভিস সরকারের প্রাপ্ত বকেয়া টাকা না মেটালে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রক (Department of Telecommunications)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইতিমধ্যে ভারতী এয়ারটেল ২০ ফেব্রুয়ারি ১০,০০০ কোটি টাকা মেটানোর প্রস্তাব দেয়, যদিও বকেয়া মেটানোর সময়সীমা বাড়াতে ইচ্ছুক নয় টেলিমন্ত্রক। সময় বাড়ানো নিয়ে প্রশ্নের জবাবে টেলিকম মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, আদালত সংস্থাগুলিকে তিন মাসের সময় দিয়েছিল। ২৩ জানুয়ারি সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাদের বকেয়া হিসেব করার জন্য টেকিলম সংস্থাগুলির কাছে যথেষ্ঠ সময় ছিল। ভোডাফোন আইডিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, সরকারি বকেয়া খাতে দেওয়া টাকার মূল্যায়ণ করবেন তারা।


বকেয়া প্রায় ৫৩ হাজার কোটি টাকা। সেখানে আজ পর্যন্ত মাত্র ২৫০০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল ভোডাফোন আইডিয়া। এ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আর্জিও জানিয়েছিল সংস্থা। কিন্তু সংস্থার সেই আর্জি পত্রপাঠ ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে আরও গভীর হল ভোডাফোন আইডিয়ার সঙ্কট। সুপ্রিম কোর্টের আগের নির্দেশ (২০১৯, ২৪ অক্টোবর) অনুযায়ী, সরকারকে ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা দিতে হতো টেলিকম সংস্থাগুলিকে। গত ২৩ জানুয়ারি ছিল ওই বকেয়া মেটানোর শেষ দিন। আপাতত রিলায়েন্স জিও ছাড়া কোনও সংস্থাই সরকারের প্রাপ্ত বকেয়া মেটায়নি। বকেয়া না মেটানোর তালিকাও বেশ লম্বা। সেই তালিকায় রয়েছে রাষ্ট্রয়াত্ত্ব টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএলও। সর্বশেষ হিসেব অনুযায়ী, ভোডাফোন আইডিয়ার বকেয়ার পরিমাণ ৫৩,০০০ কোটি টাকা, টাটা টেলি সার্ভিসের বকেয়ার পরিমাণ ১৩,৮০০ কোটি টাকা, বিএসএনএল-এর বকেয়ার পরিমাণ ৪,৯৮৯ কোটি টাকা, এমটিএনএলের বকেয়ার পরিমাণ ৩,১২২ কোটি টাকা এবং এয়ারটেলের সবমিলিয়ে বকেয়ার পরিমাণ ৩৫,০০০ কোটি টাকা।


আরও পড়ুন: এই কাজটি এখনও না করলে বাতিল হয়ে যাবে আপনার প্যান কার্ড!


ইতিমধ্যে দেউলিয়া অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে রিলায়েন্স কমিউনিকেশন এবং এয়ারসেল। এছাড়া অনেক সংস্থা আছে যাদের বকেয়া মেটানোর কথা, তারা ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। বকেয়া থাকা সত্বেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় টেলিকম মন্ত্রককে একহাত নেয় সুপ্রিম কোর্ট। ১.৪৭ কোটি টাকা বকেয়া আছে সংস্থাগুলির। এখনও পর্যন্ত চার বার নোটিশ পাঠানোর পরও বকেয়া মেটায়নি সংস্থাগুলি। তাই আর কোনও নোটিশ না দিয়েই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে টেলিকম মন্ত্রক, এমনটাই জানা গিয়েছে।