নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে এখন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক ই-কমার্স। জরুরি দ্রব্য পৌঁছে দিতে কাজ করছেন ই-কমার্স সংস্থা আমাজনের কর্মীরা। তবে, কর্মীদের কারও যাতে সংক্রমণ না থাকে সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করল সংস্থা। নজরদারির জন্য সংস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বিশাল গুদামঘরগুলিতে থার্মাল ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি করবে বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

থার্মাল ক্যামেরায় ছবির মধ্যে থাকা বিভিন্ন বস্তুর তাপমাত্রা বিভিন্ন রঙের মাধ্যমে আলাদা করা যায়। ফলে সহজেই কোনও ব্যক্তি বা বস্তুর তাপমাত্রা কত তা আলাদাভাবে বোঝা সম্ভব। এর ফলে থার্মাল গানের থেকেও আরও নিখুঁতভাবে ও বেশি সময়ের জন্য প্রত্যেকের দেহের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে।


কেন এমন নজরদারির ব্যবস্থা? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এখনও পর্যন্ত ৫০-এরও বেশি আমাজনের কর্মীর দেহে করোনাভাইরাসের হদিশ মিলেছে। তাঁরা প্রত্যেকেই বিভিন্ন ওয়্যারহাউজ বা গুদামে কাজ করতেন। এর ফলে সংস্থার বাকি কর্মীরা আতঙ্কিত। অনেকে সাবধানতা অবলম্বন করতে পদত্যাগও করেছেন। সেদিকে নজর রেখেই কর্মীদের সুরক্ষার জন্য নজরদারির ব্যবস্থা করল সংস্থা।


আরও পড়ুন: স্কুল শিক্ষক থেকে জিম ট্রেনার, সবেতেই যন্ত্র! বেকারত্ব সমস্যা বাড়াচ্ছে রোবট


শুধু তাই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও বেশ কিছু সংস্থা তাদের গুদামঘরে বা অফিসে থার্মাল ক্যামেরা ব্যবহার করে কর্মীদের দেহের তাপমাত্রার উপর নজরদারি করছে। একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেড থার্মাল ক্যামেরার দাম ৬ লক্ষ থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। কিন্তু কর্মীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না সংস্থাগুলি। ইতিমধ্যেই আমাজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের বেশ কিছু ওয়্যার হাউজে থার্মাল ক্যামেরা সংক্রান্ত হার্ডওয়্যারের কাজ সেরে ফেলেছে।