নিজস্ব প্রতিবেদন: অল্পের জন্য রক্ষা। পৃথিবী থেকে মাত্র ৪৪,০০০ কিলোমিটার দূর দিয়ে উড়ে গেল গ্রহাণু। এবারের মতো রক্ষা পেলেও অশঙ্কা যে কাটেনি তা জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাঁদের দাবি, পৃথিবীর পাশ দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় গ্রহাণুটির কক্ষে ষে পরিবর্তন হয়েছে তাতে অচিরেই পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়তে পারে গ্রহাণুটি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন - মাঝে আর একটা দিন, পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে গ্রহণু, জানাল NASA


উপবৃত্তাকার কক্ষে সূর্যের চারিদিকে ঘোরে গ্রহাণু 2012TC4. ভারতীয় সময় মঙ্গলবার রাতে সেটি পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে উড়ে গিয়েছে। যে কক্ষে ভূসমলয় উপগ্রহ পাঠানো হয় তার থেকে মাত্র কয়েক হাজার কিলোমিটার দূর দিয়ে উড়ে যায় গ্রহাণুটি। ৩০ মিটার দৈর্ঘের গ্রহাণুটি আকারে একটি বড় বাসের সমান। ফলে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়লেও তাতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কম। তবু সম্ভাব্য বিপদকে নজরের আড়াল করতে চান না গবেষকরা। সেই উদ্যোগ থেকেই গ্রহাণুটির পৃথিবীর পাশ থেকে উড়ে যাওয়ার পর গণনা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে ইউরোপিয় স্পেস এজেন্সি। 


 



বড় জ্যোতিষ্কের পাশ দিয়ে অপেক্ষাকৃত ছোট জ্যোতিষ্ক উড়ে গেলে বড়টির মার্ধাকর্ষণের প্রভাবে ছোটটির কক্ষের পরিবর্তন ঘটে। তারতম্য ঘটে গতিতেও। 2012TC4-এর ক্ষেত্রেও ঘটেছে তেমনটাই। তার জেরেই তৈরি হয়েছে সেটির পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। গবেষকরা বলছেন, এবার পৃথিবীর সঙ্গে সাক্ষাতে গ্রহাণুটির কক্ষে যে পরিবর্তন হয়েছে তাতে ২০৭৯ সালে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে পারে সেটি। ২০৫০ সালে ফের পৃথিবীর কাছে আসবে এই গ্রহাণু। তবে সেবারও পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই। ফের ২০৭৯ সালে কাছাকাছি আসবে গ্রহাণুটি। সেবারই ঘটতে পারে বিপদ। গণনা বলছে সেবার গ্রহাণুটির পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ৭৫০ এর মধ্যে ১। মহাজাগতিক গণিতের হিসাবে যা যথেষ্ট বেশি।