Largest Black Hole In Milky Way: পৃথিবী থেকে ২০০০ আলোকবর্ষ দূরে কোথায় লুকিয়ে ছিল বৃহত্তম এই কৃষ্ণগহ্বর...
Largest Black Hole In Milky Way: কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই বিজ্ঞানী থেকে সাধারণ মানুষের। আসলে সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টি নিছক কৌতূহলের হলেও, বিজ্ঞানীদের কাছে সেটা একটা অস্তিত্বের প্রশ্ন। কেননা, এর মধ্যেই আসলে লুকিয়ে আছে সৃষ্টির রহস্য।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই বিজ্ঞানী থেকে সাধারণ মানুষের। আসলে সাধারণ মানুষের কাছে বিষয়টি নিছক কৌতূহলের হলেও, বিজ্ঞানীদের কাছে সেটা একটা অস্তিত্বের প্রশ্ন। কেননা, এর মধ্যেই আসলে লুকিয়ে আছে সৃষ্টির রহস্য। আর সেই সূত্রেই সম্প্রতি আমাদের এই আকাশগঙ্গা বা মিল্কিওয়ে ছায়াপথের বৃহত্তম কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা!
কতটা বড় কৃষ্ণগহ্বর?
আরও পড়ুন: Total Solar Eclipse: গ্রহণ চলাকালীন সূর্যের উপর নজরদারি চালাল আদিত্য-এল১! কী অজানা আশ্চর্য জানা গেল?
জানা গিয়েছে, এটির ভর আমাদের সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ বেশি! এত দিন এটি আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি বিজ্ঞানীদের পক্ষে। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের গবেষকেরা।
নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম গাইয়া বিএইচ৩ (Gaia BH3)। অবজারভেটরি দা প্যারিসের 'ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চ' (National Centre for Scientific Research) বা 'সিএনআরএস' (CNRS)-এর জ্যোতির্বিদ পাসকোয়েল পানুজ্জো (Pasquale Panuzzo) বলেন, কৃষগহ্বরটিকে অনেকটা আকস্মিকভাবে আবিষ্কার করে ফেলেছেন বিজ্ঞানীরা। ইউরোপের মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এর খোঁজ পান তাঁরা।
গাইয়া মিশনটি আমাদের ছায়াপথের মানচিত্র তৈরির কাজে যুক্ত ছিল। সেই কাজ করতে-করতেই সহসা এটি পৃথিবী থেকে ২০০০ আলোকবর্ষ দূরের আকুইলা গ্রহাণুপুঞ্জে (Aquila constellation) বিএইচ৩ কৃষ্ণগহ্বরটিকে শনাক্ত করেছে। গাইয়ার টেলিস্কোপ নক্ষত্রের নিখুঁত অবস্থান শনাক্ত করতে পারে। আর এই তথ্য থেকে জ্যোতির্বিদেরা নক্ষত্রের কক্ষপথ, তাদের ভর ইত্যাদিকে খুঁজে বের করতে পারেন। গাইয়ার টেলিস্কোপ থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে কৃষ্ণগহ্বরটির অবস্থান শনাক্তের পর ভূপৃষ্ঠের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে এর অস্তিত্বের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গাইয়া বিএইচ৩ একটি স্টেলার ব্ল্যাকহোল। নক্ষত্র মরে গেলে এ ধরনের কৃষ্ণগহ্বরের সৃষ্টি হয়। এগুলো সুপারম্যাসিভ কৃষ্ণগহ্বরের চেয়ে আলাদা। এত বড় বড় আকৃতির কৃষ্ণগহ্বরের সৃষ্টির কারণ অবশ্য এখনও অজানাই। আগামী দিনে সেই রহস্যভেদ করাই বিজ্ঞানীদের বড় কাজ।
আরও পড়ুন: Geomagnetic Storm: বড় বিপর্যয়! সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এরকম সৌরঝড়ের মুখোমুখি হয়নি পৃথিবী...
এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত জ্যোতির্বিদ পাসকোয়েল পানুজ্জো বলেছেন-- আমাদের কাছাকাছি যে এইরকম ভারী একটা কৃষ্ণগহ্বর এখনও পর্যন্ত অজানা-অনাবিষ্কৃত থাকতে পারে, তা আমরা কেউ ধারণাই করতে পারিনি। এ ধরনের আবিষ্কারের সুযোগ জীবনে বেশিবার আসে না!