নিজস্ব প্রতিবেদন: টাকা তোলার জন্য ডেবিট কার্ড বা এটিএম ব্যবহার না করলেও ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের কবলে পড়ার আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যায়! কারণ, আপনার মোবাইল নম্বর আপনার সবকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গেই যুক্ত করা থাকে। আর আপনার এই রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে প্রতারকরা। কী ভাবে? আসুন জেনে নেওয়া যাক...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রতারক আপনাকে সিম আপগ্রেডেশন-এর নাম করে ২০ সংখ্যার একটা সিম কার্ড নম্বরও ওই সময় এসএমএস করতে পারে। এর পর আপনাকে আপনার নম্বরটি পাঠাতে বলতে পারে এবং ‘১’ টিপে এসএমএস কনফার্ম করতে বলতে পারে। এরই সঙ্গে ‘আপনি আপনার নতুন সিম কার্ড ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পেয়ে যাবেন’, এ কথাও বলা হতে পারে। সাবধান, নির্দেশ মেনে আপনি ‘১’ প্রেস করলেই আপনার সিম কার্ডটি ডিঅ্যাক্টিভেট হয়ে যাবে আর তার পরেই আপনার সিমের সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় তথ্য চলে যাবে ওই প্রতারকের কাছে। একেই বলে ‘SIM SWAP’ জালিয়াতি। এর পর আপনার ওই নম্বরের সঙ্গে যে যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি যুক্ত করা রয়েছে, সেখানে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) জেনারেট করে আপনার ব্যাঙ্কের থেকে টাকা লোপাট করার অবাধ সুযোগ পেয়ে যাবে হ্যাকাররা। এ দিকে আপনার সিম ডিঅ্যাক্টিভেট থাকায় অবৈধ লেনেদেনের কোনও এসএমএস অ্যালার্টও আপনি পাবেন না।


আরও পড়ুন: WhatsApp-এ নতুন প্রতারনার ফাঁদ! এই মেসেজ পেলেই সাবধান!


দুশ্চিন্তায় পড়লেন? ভাবছেন, এই ‘SIM SWAP’ জালিয়াতির হাত থেকে বাঁচতে হলে কী করবেন? চলুন জেনে নিন...


১) নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য কখনই কাউকে জানাবেন না। বড় কোনও অফারের ফাঁদে পা দিয়ে অজানা কোনও ওয়েবসাইটে আপনার মোবাইল নম্বর দেবেন না।


২) নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট মাঝেমধ্যেই চেক করুন। কোনও এসএমএস অ্যালার্ট বা ওটিপি (OTP) কখনই কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না।



৩) ব্যাঙ্কে গিয়ে আপনার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ‘ইনস্ট্যান্ট অ্যালার্ট’-এর সুবিধা রেজিস্টার করুন। তাহলে সব সময় নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাইন্টের সব তথ্য জানতে পারবেন।


৪) কেউ ফোন করে সিম আপগ্রেডেশন বা সিম ব্লক করার কথা বললে, কথা না বিড়িয়ে সেই ফোন কেটে দিন। মোবাইলের নেটওয়ার্ক সার্ভিস প্রোভাইডারের কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন করছি বললেও গুরুত্ব দেবেন না। ফোনে কোনও সন্দেহজনক কিছু ঘটতে দেখলে আপনার মোবাইল সার্ভিস প্রোভাইডারকে সঙ্গে সঙ্গে জানান।