নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথমবার জ্বলে উঠল চন্দ্রযান-২-এর ইঞ্জিন। পৃথিবী থেকে আরও একটু দূরে সরে গেল চন্দ্রযান-২। সোমবারের সফল উত্ক্ষেপণের পর ১৭০কিমিx৩৯,১২০ কিমি কক্ষপথে স্থাপন করা হয়েছিল। বুধবার লাফ দিয়ে ২৩০কিমিx৪৫১৬৩ কিমি কক্ষপথে পৌঁছে গেল চন্দ্রযান-২। বুধবার টুইট করে ম্যানুভারের কথা জানায় ইসরো। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিনের আর্থ-বাউন্ড ম্যানুভারের জন্য প্রায় ৪৮ সেকেন্ড জ্বলে ওঠে ইঞ্জিন। এভাবে আরও ১৪ বার জ্বলে উঠবে চন্দ্রযান-২-এর ইঞ্জিন। তার মধ্যে পৃথিবীর কক্ষপথে থাকাকালীন মোট ৬ বার জ্বলবে ইঞ্জিন। মোট ৪ ধাপে বাড়ানো হবে কক্ষের পরিধি।  ষষ্ঠ, একাদশ, ষোড়শ ও উনিশতম পরিক্রমায়, ধাপে ধাপে অপসূর অবস্থানের দূরত্ব বেড়ে হবে ১,৪৪,০০০ কিলোমিটার। নির্দিষ্ট অপসূর দূরত্বে পৌঁছনোর পরে ইঞ্জিনের সাহায্যে লাফ দিয়ে চাঁদের কক্ষপথে ঢুকে পড়বে চন্দ্রযান-২। বুধবারের পর ২৬ জুলাই আবার কক্ষপথ বদলাবে চন্দ্রযান-২। 



আরও পড়ুন : শুভেচ্ছা বার্তার আড়ালে ইসরোকে বিদ্রুপ নাসার! সমালোচনা নেটিজেনদের


পরিকল্পনামাফিক প্রতিটি ম্যানুভার সম্পন্ন হলে আগামী ১৪ আগস্ট চাঁদের কক্ষে প্রবেশ করবে চন্দ্রযান-২। ট্রান্স লুনার অরবিট বার্নের মাধ্যমে চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করবে চন্দ্রযান-২। পাঁচ দিন পর  প্রথম লুনার বার্নে ১২০ কিলোমিটার অনুসূর ও ১৮,০০০ কিলোমিটার অপসূরের কক্ষে স্থাপন করা হবে চন্দ্রযান-২-কে। এর পরে আরও চারটে লুনার বার্নের পর চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে স্থাপন করা হবে অরবিটারকে।


এর পরেই চন্দ্রযান-২-এর অর্বিটার থেকে বিছিন্ন হবে ল্যান্ডার বিক্রম। বিছিন্ন হওয়ার পর ৩০কিমিx১০০কিমি কক্ষপথে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে ল্যান্ডারটি। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে, সফট ল্যান্ডিং-এর উপযুক্ত জায়গা খুঁজবে বিক্রম। ৭ সেপ্টেম্বর রাত ২টো ৫৮ মিনিটে চাঁদে ল্যান্ড করবে বিক্রম। রকেটের মাধ্যমে ধীরে ধীরে চাঁদের মাটিতে সফ্ট ল্যান্ডিং-এর নেমে আসবে বিক্রম। এর পরেই পারিপার্শ্বিক ভূপ্রাকৃতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিক্রমের ভিতর থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার প্রজ্ঞান।