Chandrayaan-3: মাত্র ৫ দিন পরে চাঁদের ৩০ কিমি-র মধ্যে! `বিক্রম`-এর সঙ্গে সফল বিচ্ছেদ `প্রজ্ঞানে`র...
Chandrayaan`s Big Step: এসে গেল সেই বহু-প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। এবার চন্দ্রযান-৩-এর এবার পাকাপাকি চাঁদের ভূমি স্পর্শ করার লগ্ন এল। ল্যান্ডার `বিক্রম`-এর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটল রোভার `প্রজ্ঞান`-এর। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এসে গেল সেই বহু-প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। এবার চন্দ্রযান-৩-এর পাকাপাকি চাঁদের ভূমি স্পর্শ করার লগ্ন। ল্যান্ডার 'বিক্রম'-এর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটল রোভার 'প্রজ্ঞান'-এর। রোভার 'প্রজ্ঞান' গিয়ে নামবে চাঁদের মাটিতে। আশা করা হচ্ছে আগামী ২৩ অগস্ট 'প্রজ্ঞান' স্পর্শ করবে চাঁদের মাটি। রোভারের সঙ্গে ল্যান্ডারের এই প্রত্যাশিত বিচ্ছেদ সুষ্ঠু ভাবেই ঘটেছে। এবং এ নিয়ে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন তথা ইসরো একটি ট্যুইটও করেছে।
আরও পড়ুন: Kundli GPT: AI এবার জ্যোতিষেও! নিখুঁত ভবিষ্যৎ জানতে চান? নির্ভুল বলে দেবে চ্যাটবট...
রোভারের সঙ্গে ল্যান্ডারের বিচ্ছেদের পরে ল্যান্ডার-এর এবার ডিবুস্টিং হতে থাকবে। ডিবুস্টিং মানে এর গতি ক্রমশ কমতে থাকবে। এটি ক্রমশ চাঁদের কক্ষপথে গিয়ে নামবে। এবং ক্রমশ পেরিলিউনের দিকে যাবে। পেরিলিউন হল ক্লোজেস্ট পয়েন্ট টু দ্য মুন, চাঁদের সব চেয়ে কাছের বিন্দু। এখান থেকে চাঁদ আর মাত্র ৩০ কিলোমিটার। প্রসঙ্গত অ্যাপোলিউন বলে এর বিপরীত একটি বিন্দু হয়-- যেখান থেকে চাঁদের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার।
এই পেরিলিউন পয়েন্ট থেকে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে চন্দ্রযান, ২৩ অগস্ট নাগাদ। চাঁদের মাটিতে নামার পরে রোভার নানা পরীক্ষায় মাতবে। চাঁদের ভূমি ও মাটি নিয়ে নানা সন্ধান চালাবে। সন্ধান করবে চাঁদে কোনও ভাবে জলের অস্তিত্ব আছে কিনা। ওদিকে প্রপালশন মডিউল চাঁদকে ঘিরে প্রদক্ষিণ করতে থাকবে।
ভারতের এর আগের মিশন চন্দ্রযান-২ ব্যর্থ হয়েছে। ফলে চন্দ্রযান-৩ মিশন নিয়ে ভারত খুবই উত্তেজিত। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) চন্দ্রযান-৩ বহনকারী স্পেসক্র্যাফ্ট সাফল্যের সঙ্গে লঞ্চ করেছে। এটিই ভারতের হেভিয়েস্ট জিএসএলভি। তৈরি হয়েছে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারে। ১৪ জুলাই এটি মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Chandrayaan-3: এতদিনে পৃথিবীর বন্ধন ছাড়াতে পারল চন্দ্রযান-৩! সে এবার সত্যিই চন্দ্র-মুখী...
চাঁদে পাড়ি দেওয়ার আগে তাদের মহাকাশযান ধারণকারী পেলোড ফেয়ারিংকে জিওসিঙ্ক্রোনাস লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক থ্রি-র সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিল ইসরো। ভারতের সবচেয়ে ভারী রকেটের সঙ্গে পেলোড ফেয়ারিংয়ের জুড়ে দেওয়ার কাজটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারেই হয়েছিল। অতি উচ্চাকাঙ্ক্ষী এই প্রকল্প নিয়ে ইসরো খুবই আত্মবিশ্বাসী ও উচ্ছ্বসিত ছিল। তারা জানিয়েছে, লুনার সারফেসে বা চাঁদের মাটিতে ঘোরার সময়ে চন্দ্রযান-৩ চাঁদের ভূ-প্রকৃতি ও তার পরিবেশ নিয়ে 'ইন-সিটু কেমিক্যাল অ্যানালিসিস' চালাবে। চন্দ্রযান-৩ -এর মাধ্যমে চাঁদের মাটিতে যান নামিয়ে চাঁদ-চর্চা শুরু করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেকর্ড করে ফেলবে ভারত। এই বিরল কাজটি সুষ্ঠু ভাবে করার ক্ষেত্রে বিশ্বে চতুর্থ দেশ হতে চলেছে ভারত।