নিজস্ব প্রতিবেদন: 'চরম নগ্নতার কারণে' ফেসবুকের দেওয়ালে স্থান পেল না প্রাগৈতিহাসিক যুগের (৩ হাজার বছর আগের) "ভেনাস অফ উইলেনডর্ফ''। বর্তমানে ভিয়েনার ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামে রয়েছে এই মূর্তি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ইতালিয় শিল্প আন্দোলনকারী লরা ঘিয়ান্দা "ভেনাস অফ উইলেনডর্ফ''-এর একটি ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ করার পর থেকেই এ সংক্রান্ত বিতর্ক প্রথমবার সামনে আসে। ফেসবুক এই ছবি 'সেন্সর' করায় ক্ষুব্ধ লরা বলেন, "এই মূর্তি (বা তার ছবি) ভয়ঙ্কর রকমের পর্নোগ্রাফিক নয়। মানব সংস্কৃতি এবং আধুনিক সমাজ এটা (সেন্সর করা) কিছুতেই গ্রহণ করবে না"। লরার সঙ্গে গলা মিলিয়েই ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষও জানায়, "আমরা মনে করি এটি একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শণ। বিশেষত এমন একটা আইকনিক মূর্তিকে কেবল নগ্নতার কারণে নির্বাসিত করা ঠিক নয়"।


জাদুঘর কর্তৃপক্ষের আরও দাবি, "ভেনাসকে নগ্ন হতে দিন! শরীরে একটা সুতোও না থাকা এই নারী মূর্তি বিগত ২৯,৫০০ বছর ধরে প্রাগৈতিহাসিক উত্পাদন ক্ষমতার প্রতীক হয়ে রয়েছেন। আর ফেসবুক কি না সেই মূর্তিকে সেন্সর করছে!" তারা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে যে, এই মূর্তিকে 'শালীন' করে তোলার কোনও দায় বা ইচ্ছাই নেই তাঁদের। এত দিন ধরে আসা অগণিত দর্শকও এই মূর্তি নিয়ে কখনও কোনও রকম আপত্তি তোলেননি বলে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাদুঘরের তরফে প্রস্তর যুগের পর্নোগ্রাফির যে সব ছবি আপলোড করা হয়েছিল সেগুলি নিয়ে কিন্তু ফেসবুক কোনও আপত্তি জানায়নি। তাহলে, "ভেনাস অফ উইলেনডর্ফ'' কী দোষ করল, উঠছে প্রশ্ন।


কিন্তু ভেনাস অফ উইলেনডর্ফ আসলে কী?


বিশ শতকের গোড়ার দিকে অস্ট্রিয়ার উইলেনডর্ফ গ্রামে খনন কার্য চালিয়ে উদ্ধার হয় ১১ সেন্টিমিটারের (৪ ইঞ্চি) এই মূর্তিটি। মূর্তিটির বয়স প্রায় ৩ হাজার বছর বলে মনে করা হয়। এই নারী মূর্তিটিকে চরম যৌন কামনার শৈল্পিক রূপ হিসাবে দেখা হয়।   


প্রসঙ্গত, এর আগেও পোস্ট 'সেন্সর' করার ক্ষেত্রে ফেসবুকের বিবেচনা বোধ নিয়ে এর আগেও বহুবার প্রশ্ন উঠেছে। অনেকের মতে, নান্দনিকতার বিষয়টি ফেসবুক কর্তৃপক্ষ সেভাবে আমল দেয় না।