সৌরভ পাল


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নারদ নিউজ পোর্টালের স্টিং ভিডিও নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য, গোটা দেশ। উত্তাল সংসদের অন্দরমহল থেকে রাজপথ। স্টিং অপারেশনে ৭০ লক্ষ টাকা ঘুষ দেওয়ার কথা জানিয়েছে 'নারদ'। তৃণমূলের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীদেরও নাম জড়িয়েছে নারদকাণ্ডে। বিরোধীরাও আওয়াজ তুলছে 'লুঠে'র বিরুদ্ধে। শাসকে অবশ্য বলছে ভিডিওটি 'জাল'। ফরেন্সিক পরীক্ষার দাবি সব মহলেই। খালি চোখে দেখলে বোঝার উপায় নেই এই ভিডিওতে কোনও প্রযুক্তির কারসাজি আছে কিনা। তবে ভিডিও'র পোস্টমর্টোম করলে বেড়িয়ে আসে তথ্যের অন্তর্নিহিত সত্য। যেমনটা হয়েছে JNU-বিতর্কে ভাইরাল হওয়া জাল ভিডিওর ক্ষেত্রে।


কিন্তু সাধারণ মানুষ কীভাবে বুঝবেন যে, ভিডিও জাল কিনা?


প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন কয়েকটা সহজ উপায়-


১. ভিডিও'র মধ্যে যেকোনও অংশে যদি দর্শকের মনে হয় যে, কেউ একজন অভিনয় করছেন অথবা অভিনয় করার চেষ্টা করছেন, তাহলে একবার নয় বার বার দেখুন। আপনার সন্দেহ না কেটে যাওয়া পর্যন্ত ভাল করে মনোযোগ দিয়ে দেখুন। খালি চোখেই বুঝে নিতে পাড়বেন অভিনীত ভিডিও আসলে 'জাল'।


২. নেট বিশ্বে এমন অনেক ভিডিও রয়েছে, যার অবস্থান দেখেই সন্দেহের উদ্বেগ হয়। যেমন একটি ভিডিও কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শেষ, আলো কম এমন জায়গা থেকে ভিডিও তোলা এমনকি বড় বড় বিল্ডিংয়ের মাঝখান কিংবা গাছের ফুকো ফাঁকা থেকে তোলা ভিডিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জাল প্রমাণিত হয়।


এই ক্ষেত্রে ভিডিও'র মধ্যে যেসব কারসাজি হয়-
*ভিডিও'র কোয়ালিটি খুব নিম্ন মানের হয়
*ভিডিও'র শট গুলিতে থাকে ব্লার শট, যা আবছা।


৩. জাল ভিডিও বোঝার ক্ষেত্রে এটা বুঝতেই হবে, ক্যামেরার মুভমেন্ট কেমন? ক্যামেরা যদি চারিদিকে দিকে ঘুরে ফুটেজ তোলে অর্থাৎ জার্ক থাকবে, কোনও নির্দিষ্ট স্থানে ক্যামেরা নেই, সেক্ষেত্রে সেই ভিডিওটি জাল হওয়ার প্রবণতা সব থেকে বেশি।


সাধারণত কোনও স্টিং অপারেশনের ক্ষেত্রে গোপরো ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়। তাছাড়াও ক্যামেরার মুভমেন্টে কোনও জার্ক যেন না আসে সেজন্য ব্যবহার করা হয় ট্রাইপড।


৪. ক্যামেরার চারপাশের পরিস্থিতি অবশ্যই লক্ষণীয়।


৫. এবার সরাসরি বিষয়গত দিক। যে বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে সে বিষয়ে পূর্বতন কোনও আলোচনা, কোনও সত্যতা এমনকি সত্য কথপোকথন না থাকলে সেটা ১০০% জাল ভিডিও, এনিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।


৬. সবার শেষে কিন্তু সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল জাল ভিডিও যাচাই করতে একটা ছোট্ট ইন্টারনেট সার্চ করুন। যে নামের ফাইল, তাঁর সঙ্গে লিখুন 'Fake' অথবা 'hoax'। যদি ভিডিওটা অনেকদিন ধরে থাকে এবং অনেকে তা ভিউ করে থাকে তাহলে অবশ্যই ধরা পড়বে যদি তা জাল হয়।