নিজস্ব প্রতিবেদন— কোনও গেমে গুলি করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিকে মারতে হবে। দলে দলে ছুটে আসছে করোনা আক্রান্ত রোগী। তাঁদের তাক করে গুলি ছুড়তে হবে। এটাই খেলা। গুলি ছুড়ে সবাইকে মারতে পারলে জয়। এর পর কয়েক দফায় জিতে কোয়ারেন্টিন জোন-এ ঢুকে পড়লে লড়াই হয়ে দাঁড়াবে আরও কঠিন। তখনই জমবে গেম। হবে আসল মজা। পথ যত কঠিন হবে ততই রোমাঞ্চ বাড়বে। কোনও গেমের থিম আবার আলাদা। শহরের বিভিন্ন জায়গা ভাইরাসে ভরে গিয়েছে। আক্রান্ত মানুষদের সংস্পর্শ থেকে বাঁচতে হলে ছুটে পালাতে হবে। বাড়তে থাকবে পয়েন্ট। একটি গেম আবার খেলুড়েদের হাসপাতালের কর্মী সাজিয়ে বাস চালিয়ে আক্রান্তদের পিষে মারার প্রতিযোগিতায় নামাচ্ছে! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশ্বজুড়ে লকডাউন। মানুষ ঘরবন্দি। হাতে অঢেল সময়। সময় কাটাতে হবে তো! আর সেই সুযোগে গেম প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি বাজারে নিয়ে আসছে একের পর এক গেম। প্রাণঘাতী ভাইরাস পুঁজি করে তৈরি হচ্ছে গেম। মানুষের অবসরযাপন চলছে এভাবেই। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই ধরণের গেম খেলে দিনের শেষে মানসিক অস্থিরতা তৈরি হবে না তো! কে শোনে কার কথা!  দিব্যি রমরমিয়ে চলছে এই সব গেম। সাধারণ চোখে দেখতে আপাতত নিরীহ গেম। কিন্তু খেলতে খেলতে এই গেম কখন যে খেলুড়ের মস্তিষ্কে হানা দেবে, কে জানে!


আরও পড়ুন— 5G ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ছড়িয়েছে করোনা; এই দাবি ভিত্তিহীন, গুজব! জানাল রাষ্ট্রসংঘ


গেমের আসক্তি থেকে অবসাদের জন্ম। অনেক সময় গেমের নিয়ম পালন করতে গিয়ে মৃত্যু। এমন উদাহরণ তো হাজারো রয়েছে। বিশেষ করে শিশুমনে এই ধরণের গেম ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে বলে জানিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা। গেম খেলাটা নিছকই মজার। কিন্তু সেই গেম যদি হিংসাত্মক আচরণকে প্রশ্রয় দেয় তা হলে মুশকিল। আর তখনই মানুষ নিজের ক্ষতি করতে পারে। লকডাউনে আবদ্ধ অবস্থায় থাকার সময় এমনিতেই মনের উপর চাপ পড়ছে। তার উপর এই ধরণের গেমে গা ভাসিয়ে দিলে বিপদ কিন্তু বাড়বে।