নিজস্ব প্রতিবেদন: টাকা তোলার জন্য ডেবিট কার্ড বা এটিএম ব্যবহার না করলেও ব্যাঙ্ক জালিয়াতদের কবলে পড়ার আশঙ্কা কিন্তু থেকেই যায়! কারণ, আপনার মোবাইল নম্বর আপনার সবকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গেই যুক্ত করা থাকে। আর আপনার এই রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরের সঙ্গে লিঙ্ক করা সব তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে প্রতারকরা। কিন্তু তাই বলে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক মেশিনে দেওয়া আঙুলের ছাপ কাজে লাগিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লুঠ!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে হরিয়ানার বাসিন্দা বছর চল্লিশের বিক্রমের সঙ্গে। সম্প্রতি দিল্লির একটি মাইক্রো-এটিএম (Micro ATM) থেকে ১০০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে তাঁরই আঙুলের ছাপ কাজে লাগিয়ে! এই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের একই কায়দায় ৭৫০০ টাকা তোলা হয় বিহারের একটি মাইক্রো-এটিএম (Micro ATM) থেকে। পর পর দু’টি ঘটনায় রীতিমতো চমকে গিয়েছেন হরিয়ানার এই বাসিন্দা। এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কী ভাবে আধার কার্ডের বায়োমেট্রিক মেশিনে দেওয়া আঙুলের ছাপ কাজে লাগিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লুঠ করছে জালিয়াতরা? আসুন জেনে নেওয়া যাক...


আরও পড়ুন: সতর্ক থাকুন ‘SIM SWAP’ জালিয়াতি থেকে! না হলেই হারাবেন সর্বস্ব!


মাইক্রো-এটিএম (Micro ATM) থেকে টাকা তুলতে হলে সিকিউরিটি পিন বা পাসওয়ার্ড লাগে না। পাসওয়ার্ডের পরিবর্তে এ ক্ষেত্রে আধার বা ডেবিট কার্ডের প্রয়োজন হয়। আর এর সঙ্গেই প্রয়োজন হয় আধারের সঙ্গে লিঙ্ক করা আঙুলের ছাপেরও।


এ ক্ষেত্রে হ্যাকাররা ইউআইডিএআই (UIDAI) পেজে ঢুকে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য জেনে নিয়ে ভুয়ো কার্ড তৈরি করে নেবে। ফলে সহজেই এর সাহায্যে মাইক্রো-এটিএম (Micro ATM) থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে পারবে হ্যাকাররা।


কী ভাবে এই ধরনের জালিয়াতির থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব?


আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য সুরক্ষিত করতে প্রথমেই সেটি লক করা জরুরি। আর তার জন্য https://resident.uidai.gov.in/biometric-lock-এই লিঙ্কে ক্লিক করুন। এখানে আধারের তথ্য দেওয়ার পর আপনার রেজিস্ট্রার্ড মোবাইল নম্বরে একটি OTP পাবেন। এই OTP ব্যবহার করে আপনার বায়োমেট্রিক তথ্য লক করে দিন। ব্যস, আপনার আঙুলের ছাপ কোনও মাইক্রো-এটিএম (Micro ATM) বা অন্য কোনও ক্ষেত্রেই আর ব্যবহার করা যাবে না।