নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারতে রয়্যাল এনফিল্ডকে টেক্কা দিতে মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে বাইক আনতে চলেছে Harley Davidson। ৩৩৮ সিসির এই বাইকগুলি তৈরি হবে চিনে। ভারতীয় বাজারের কথা মাথায় রেখেই বানানো হবে এই বাইক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সময় ভাল যাচ্ছে না মার্কিন বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা হার্লে ডেভিডসনের। বিশ্বেজুড়ে গত কয়েক বছরে ক্রমাগতই বাজার খুইয়েছে তারা। সংস্থার অত্যাধিক দামি বাইক মন জয় করতে  পারেনি ভারতীয় ক্রেতাদের। রয়েছে প্রয়োজনীয় পার্টসের অভাব। বাইকগুলির ইঞ্জিনের আকারও বড়সড়। ফলে জ্বালানি খরচও যথেষ্ট বেশি। এ সব কারণে ভারতীয় ক্রেতারা এড়িয়ে গেছেন এই সংস্থার বাইক।


হার্লে ডেভিডসনের বেশিরভাগ বাইকগুলি ক্লাসিক ধাঁচের। ক্রুজার বা চপার-ধর্মী ডিজাইন সংস্থার বাইকগুলির প্রধান বৈশিষ্ট্য। ভারতে এই ডিজাইনের বাইক বানায় রয়্যাল এনফিল্ড। সেই সংস্থার বাইকের যথেষ্ট জনপ্রিয় দেশজুড়ে। এর পেছনে রয়েছে মধ্যবিত্তের পকেট-সই দাম,  সহজলভ্য পার্টস, ভাল সার্ভিস সেন্টার এবং চলনসই মাইলেজ। 


এই সব দিকগুলি মাথায় রেখে তাই এগোতে চাইছে হার্লে ডেভিডসন। ভারতে ব্যবসা করতে হলে ভাবতে হবে ভারতীয়দের মতো। তাই মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে বাইক আনতে উদ্যোগী সংস্থা। ৩৩৮ সিসির বাইকের মাধ্যমে ভারতীয় বাজারে রয়্যাল এনফিল্ডের প্রতিদ্বন্দী আনতে চাইছে হার্লে। নজর থাকছে চিনের বাজারেও। সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে চিনা বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা Qianjiang Motorcycle-এর সঙ্গে হাতও মিলিয়েছে তারা। দাম সাধ্যের মধ্যে রাখা হলেও ডিজাইনের মানের সঙ্গে থাকছে না কোনও আপোস।


আরও পড়ুন:আপনি না চাইলে আর কোনও WhatsApp গ্রুপে অ্যাড করা যাবে না আপনাকে!


মাঝারি দামে কম সিসি ও আকর্ষণীয় ডিজাইন। এশিয়ার বাজারে এই নীতিকে এর আগে হাতিয়ার করেছে বহু বাইক প্রস্তুতকারক সংস্থা। মিলেছে সুফলও। কেটিএম, বেনেলি, কাওয়াসাকি, বিএমডব্লুউ-এর মতো সংস্থাগুলি বাজারে এনেছে ১২৫ থেকে ৩৫০ সিসি-এর মধ্যে একাধিক বাইক। এবার সেই রীতিতেই সামিল হতে চলেছে হার্লে ডেভিডসন। 


২০২০ সালের মধ্যেই চিনের বাজারে আসবে এই বাইক। তার কয়েক মাসের মধ্যেই ভারতের বাজারে এসে  পৌঁছবে সবচেয়ে সস্তার হার্লে ডেভিডসন। বিশেষজ্ঞদের মতে ২-২.৫ লাখ টাকার মধ্যেই রাখা হবে বাইকের দাম। এই দামে ভারতে রয়্যাল এনফিল্ড কন্টিনেন্টাল জিটি, রয়্যাল এনফিল্ড ইন্টারসেপ্টরকে টক্কর দেবে এই বাইক।