ওয়েব ডেস্ক: মূল্যবৃদ্ধির বাজার। সব্জি কিনতে ফতুর হয়ে যাচ্ছেন? সহজ সমাধান রয়েছে। ছাদে বা বারান্দায় লাগিয়ে দিন সব্জির চারা। হাইড্রোপনিক্স পদ্ধতিতে চারা বড় হলেই সব্জির আর কোনও খরচ দিতে হবে না। খোলা জমি নয়। ঘাম ছুটিয়ে চাষ করা নয়। মাটিও নয়। পলিথিনের প্যাকেটে বালি আর স্টোন চিপস ভরে দিলেই চলবে। আপনার ছাদ বা বারান্দায় তৈরি হয়ে যাবে কিচেন গার্ডেন। কীভাবে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই পদ্ধতির নাম হাইড্রোপনিক্স । নয়া এই পদ্ধতিতে কিচেন গার্ডেন বানাতে গেলে আপনার লাগবে নদীর বালি আর স্টোন চিপস ।পলিথিনের প্যাকেটেই নদীর বালি আর স্টোন চিপস ভরে লাগিয়ে দিতে হবে সব্জির চারা ।প্রতিটি গাছে প্রতিদিন ১০০ মিলি লিটার বিশেষ ধরনের জৈব দ্রবণ দিতে হবে । জলের সঙ্গে তিন ধরনের তরল মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই দ্রবণ ।চারা বসানোর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই মিলবে ফসল


ভাবছেন নিশ্চয়? বালি আর পাথরের মধ্যে গজিয়ে ওঠা গাছ থেকে কতটাই বা ফসল মিলবে? তাহলে জেনে রাখুন, মাটিতে লাগানো গাছের ফসলের তুলনায় গাছ প্রতি উত্পাদন বাড়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ । ৩-৪ জনের পরিবারে দৈনিক সব্জির চাহিদা মেটাতে ১০ ধরনের সব্জির কম বেশি ৩০ টি চারা বসালেই যথেষ্ট । গাছ বড় হওয়ার পর ৫ থেকে ৬ মাস মিলবে ফসল । মাটি ও কাদার ঝামেলা না থাকায় শ্রম ও খরচ দুই-ই কম এ ধরনের পদ্ধতিতে । হিসেব করলে দেখা যাবে ২-৩ হাজার টাকা খরচ করে বাগান করলে ৪ মাসে যে সব্জি মিলবে, তার বাজার দর কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা । যে কোনও মরসুমে যে কোনও ধরনের সব্জি চাষ সম্ভব এই হাইড্রোপনিক্স পদ্ধতিতে। শুধু সব্জিই নয়। যাঁরা একটু পুজো-আরাধনায় অভ্যস্ত, তাঁরা এই পদ্ধতিতে ফুলেরও চাষ করতে পারেন ছাদে বা বারান্দায়। তাহলে আর দেরি করবেন না। হেঁসেলের খরচ কমাতে হাইড্রোপনিক্স পদ্ধতিতে এবার বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় গড়ে তুলুন কিচেন গার্ডেন।