Ancient ocean in Himalayas: পাথরে `লুকিয়ে` জলবিন্দু, হিমালয়ের মধ্যে এক মহাসাগরের `দেখা` পেলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা
আইআইএসসি এর সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্সের গবেষক প্রকাশ চন্দ্র আর্য বলেন, এই জলের মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম কার্বোনেট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে ৭০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে `গ্লেশিয়েশন` হয়েছে। এটিকে স্নো-বল আর্থ গ্লেশিয়েশনও বলা হচ্ছে। সেই সময়ই হিমালয়ের মধ্যকার সমুদ্রও হারিয়ে যায়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বহু লক্ষ কোটি বছর আগে সমুদ্র থেকেই উৎপত্তি হয়েছে হিমালয়ের, এমন তথ্যই জানায় মহীখাত তত্ত্ব। বলা হয়, টার্শিয়ারি যুগে ভূ-আন্দোলনের ফলে ভূ-ভাগ দুটি পরস্পরের কাছাকাছি আসতে থাকলে টেথিস সাগরে সঞ্চিত প্রস্তরীভূত পাললিক শিলাস্তরে প্রচণ্ড পার্শ্বচাপ পড়ে। এর ফলে ওই শিলাস্তরে ভাঁজের সৃষ্টি হয় ও তা ধীরে ধীরে ওপরে উঠে পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতমালা হিমালয়ের সৃষ্টি করে। সেই হিমালয়ের মধ্যেই এবার সমুদ্র খুঁজে পেলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন, Chandrayaan-3: শুরু কাউন্টডাউন, স্বপ্ন ছুঁতে আজ চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে ইসরোর চন্দ্রযান-৩
বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স, জাপানের নিগাটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা হিমালয়ের পাথরের মধ্যেও খুঁজে পেয়েছেন জলের অস্তিত্ব। মনে করা হচ্ছে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন বছর আগে এই জল পাথরের মধ্যে সঞ্চিত হয়ে ছিল। এই আবিষ্কার থেকে এও জানা কয়েক লক্ষ কোটি বছর আগে কীভাবে জল 'অক্সিজেনেশনের' মাধ্যমে থেকে গিয়েছে সেই বিজ্ঞানও।
প্রিক্যাম্ব্রিয়ান রিসার্চ পেপারে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। আইআইএসসি এর সেন্টার ফর আর্থ সায়েন্সের গবেষক প্রকাশ চন্দ্র আর্য বলেন, এই জলের মধ্যে ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম কার্বোনেট প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। মনে করা হচ্ছে ৭০০ থেকে ৫০০ মিলিয়ন বছর আগে 'গ্লেশিয়েশন' হয়েছে। এটিকে স্নো-বল আর্থ গ্লেশিয়েশনও বলা হচ্ছে। সেই সময়ই হিমালয়ের মধ্যকার সমুদ্রও হারিয়ে যায়। তবে এখনও হিমালয়স্থিত পাথরের অভ্যন্তরে সেই চিহ্ন রয়ে গিয়েছে।
এই ভাবনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে স্নো-বল গ্লেসিয়েশনের ফলে সেডিমেন্টারি বেসিন যে অঞ্চলগুলি ছিল সেখানে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ মারাত্মকভাবে কমে যায়। এর ফলে সেখানে ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ রেকর্ডহারে বেড়ে যায়৷ গ্লেসিয়েশনের ফলে জল ক্রিস্টাল হয়ে গেলে সেখানে 'বন্দি ' হয়ে যায় এই মৌলটি। পাথরের মধ্যে জলের আণুবীক্ষণিক যন্ত্রে ফেলে এমনটাই দেখেছেন গবেষকরা।
পশ্চিমে কুমায়ন হিমালয় অঞ্চল থেকে গঙ্গোত্রী হিমবাহ এলাকা জুড়ে এই পরীক্ষানিরীক্ষা করেন গবেষকরা। এরপর গবেষণাকক্ষে পাথর এবং জলের পরীক্ষা করতে তারা বুঝতে পারেন হিমালয়ের মধ্যেই ছিল এক মহাসমুদ্র৷
আরও পড়ুন, Chandrayaan-3: অবশেষে ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর সফল উৎক্ষেপণ, ৪০ দিনে পৌঁছাবে চাঁদে