Indian Tectonic Plate: যে কোনও দিন ঘটতে পারে ভয়ংকর বিধ্বংসী ভূমিকম্প! তিব্বতের নীচে ভাঙছে ভারত-প্লেট...
Indian Tectonic Plate: পুরনো ধারণা ভেঙে দিল নতুন গবেষণা। ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে হিমালয়ের সৃষ্টি। এই সংঘর্ষের জেরে ভারতীয় প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটকে ক্রমশ উপরের দিকে ঠেলছে। একে বলে সাবডাকশন। কিন্তু নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, এই তথ্য বা তত্ত্ব ঠিক নয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইন্ডিয়ান ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংঘর্ষে হিমালয়ের সৃষ্টি। এই সংঘর্ষের জেরে ভারতীয় প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটকে ক্রমশ উপরের দিকে ঠেলছে। একে বলে সাবডাকশন। কিন্তু নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, এই তথ্য বা তত্ত্ব ঠিক নয়। নতুন গবেষণায় বেরল চমকে দেওয়া এই নতুন তথ্য। সান ফ্রান্সিসকোয় সম্প্রতি আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়ন কনফারেন্সে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। টেকটোনিক কার্যকলাপের এই মডেলটি তৈরি করেছে চিনের ওশান ইউনিভার্সিটির ভূপদার্থবিদ লিন লিউ-র নেতৃত্বাধীন এক গবেষণাদল।
আরও পড়ুন: Giant hole on the Sun: সূর্যের পেটের ভিতরে ৬০ পৃথিবী? জেনে নিন বিস্ময়কর রহস্য...
নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, তিব্বত মালভূমির নীচে আসলে দু'ভাগে ভেঙে যাচ্ছে ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটটি। আর এই ক্রমাগত সংঘর্ষের কারণে বিকৃত হচ্ছে ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের উপরের অংশ। যখন কোনও মহাসাগরীয় টেকটোনিক প্লেট ভারী ও ঘন হয়, তখন সেটি তুলনায় হালকা মহাদেশীয় প্লেটের নীচে ঢুকে যায়। এই প্রক্রিয়াকে বলে সাবডাকশন। এতদিন ভূ-বিজ্ঞানীরা জানতেন, ভারতীয় প্লেটটি আন্ডারপ্লেটিং প্রক্রিয়ায় ইউরেশীয় প্লেটের নীচে পিছলে ঢুকে যাচ্ছে। নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় প্লেটের নীচের দিকের অংশ ইউরেশীয় প্লেটের নীচে ঢুকে গেলেও, তিব্বত এলাকায়, এই প্লেটের উপরের অংশগুলি ক্রমাগত সংঘর্ষের মুখে পড়ছে, এর জেরে বেঁকে যাচ্ছে এবং ভেঙেও যাচ্ছে।
কী ভাবে শুরু হয়েছিল এই গবেষণা? দক্ষিণ তিব্বতের ৯৪টি ব্রডব্যান্ড সিসমিক স্টেশন থেকে 'আপ-অ্যান্ড-ডাউন' 'এস-ওয়েভ' এবং 'শিয়ার-ওয়েভ' সংক্রান্ত তথ্যের সঙ্গে 'ব্যাক-অ্যান্ড-ফোর্থ' 'পি-ওয়েভ' তথ্য মিলিয়ে ভূগর্ভস্থ প্লেটগুলির গতির ছবি তৈরি করা হয়েছে। যে অঞ্চলে দুটি প্লেটে সংঘর্ষ হয় সেই অঞ্চলে ভূমিকম্পের তরঙ্গ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই তরঙ্গগুলি ব্যবহার করে, বিশ্লেষণ করে ভারতীয় প্লেটের হালের ছবিটি তৈরি হয়েছে।
দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় প্লেটের নীচের অংশটি প্রায় ২০০ কিলোমিটার গভীর। অথচ উপরের দিকে কোথাও কোথাও প্লেটটির গভীরতা ১০০ কিলোমিটার। এ থেকেই গবেষকরা মনে করেন, ভারতীয় প্লেটের উপরের দিকের কিছু অংশ ভেঙে গিয়েছে, ভেঙে যাচ্ছে। এই গবেষণা এবং এর আগের ভূ-রাসায়নিক গবেষণাগুলি থেকেও ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে যে, ভারতীয় প্লেটটি ভেঙে যাচ্ছে।