জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহাকাশে রাক্ষসের খোঁজ পেল নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ। যে সে দৈত্য নয়, সবুজাভ রঙা সেই চেহারার ছবি সামনেই আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে বিশ্বে। ছবি বিশ্লেষণ করে অবশ্য জানা গিয়েছে তারার বিস্ফোরণের জেরেই রাক্ষুসে প্রতিকৃতিটি ভেসে উঠেছে মহাকাশে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নাসার তরফে জানান হয়েছে ক্যাসিওপিয়া এ নামক ওই তারার যখন বিস্ফোরণ ঘটে মহাকাশে তখন ধূলিকণা এবং গ্যাস মিলিয়ে একটি সুপারনোভা তৈরি হয়। এর আলো ৩৪০ বছর পর পৃথিবীতে এসে পৌঁছয়। এটি আমাদের গ্যালাক্সিতে সবচেয়ে কম পরিচিত সুপারনোভা অবশিষ্টাংশ। কেবল টেলিস্কোপেই ধরা পড়ে এই দৃশ্য। 


পৃথিবী থেকে দূরত্বের হিসেবে ক্যাসিওপিয়া এ ১১ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ক্যাসিওপিয়া নক্ষত্রমণ্ডলে অবস্থিত। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ওয়েব টেলিস্কোপ এবং এর যন্ত্রগুলিকে Cas A-এর দিকে ঘুরিয়ে দেখতে পান এই দৃশ্য। যেহেতু ইনফ্রারেড আলো মানুষের চোখে অদৃশ্য তাই টেলিস্কোপ ছাড়া এত নিঁখুত দৃশ্য পরীক্ষা করাও সম্ভব নয়। বিজ্ঞানীরা মাঝে মধ্যেই স্টারলার পোস্টমর্টেম করে থাকেন। বিস্ফোরিত নক্ষত্রের ধ্বংসাবশেষ কেমন হয় দেখতে, কী প্রভাব পড়ে সৌরমণ্ডলে তা ভালভাবে দেখা হয়। 


প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির জ্যোতির্বিজ্ঞানী টি টেমিম বলেছেন, "আগের ইনফ্রারেড ছবিগুলির তুলনায়, আমরা অবিশ্বাস্য এবং একটি বিশদ ছবি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ থেকে পাই যা আমরা আগে পাইনি।" বিজ্ঞানীরা শুধু নয়, বিশ্বের মহাকাশপ্রেমীরা জানিয়েছেন, এই ছবি সত্যিই অভূতপূর্ব।


 তারার বিস্ফোরণে যে এমন অবর্ণনীয় চিত্রের সৃষ্টি হয় মহাকাশে তা কল্পনাতীত। এই ছবি বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে, বাইরের লাল এবং কমলা আলো উষ্ণ ধূলিকণা, উজ্জ্বল গোলাপী আলো তারার অভ্যন্তরে থাকা কোনও গ্যাস এবং সবুজ রঙের দৃশ্যটি আর্গন, নিয়ন এবং অক্সিজেনের সংমিশ্রণ। যদিও ছবির বিভিন্ন রঙের নেপথ্য কারণ বোঝার চেষ্টা করছে গবেষকরা।