নিজস্ব প্রতিবেদন: যে কোনও তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ওরা। তবু তেমন স্বীকৃতি নেই। রবিবার কলকাতার নিউটাউনে নিজেদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনার জন্য জড়ো হয়েছিলেন শহরের টেকনিক্যাল কমিউনিকেটররা। কলকাতা টেকনিক্যাল কমিউনিকেটর মিট আপ নামে এই সম্মেলনের উদ্যোক্তা ছিল ইনফরমেশন ডেভেলপারর ফাউন্ডেশন, কলকাতা পর্ব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যে কোনও পণ্য বা পরিষেবার কৌশল ও ব্যবহারবিধি সহজবোধ্য করে গ্রাহক বা ব্যবহারকারীর সামনে তুলে ধরাই টেকনিক্যাল কমিউনিকেটরদের কাজ। কী করে ব্যবহার করবেন কোনও অ্যাপ? হেল্প-এর যাবতীয় নির্দেশিকা এঁদের হাতেই লেখা। কিংবা ঘরের কোনে থাকা মাইক্রোওয়েভ ওভেন। তার ব্যবহারবিধিও এরাই লিপিবদ্ধ করে থাকেন। গ্রাহক ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করেন এই টেকনিক্যাল রাইটাররা। রবিবার কলকাতার নিউ টাউনে সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন কলকাতার বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত প্রায় ২০ জন টেকনিক্যাল রাইটার। 



এদিনের সম্মেলনে টেকনিক্যাল রাইটারদের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে মোট ৪টি উপস্থাপনা পেশ করা হয়। কী ভাবে এই শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে তা নিয়ে বিস্তারিত জানান বিশেষজ্ঞরা। 


সম্মেলনের উদ্যোক্তা সৌমিতা সেনগুপ্ত বলেন, 'বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদের মতো শহরে টেকনিক্যাল কমিউনিকেটররা নিয়মিত মিলিত হন। তাঁদের মধ্যে ভাবনার লেনদেন চলতে থাকে। কলকাতায় তেমন ধারার চল নেই। আমরা সেটা শুরু করার চেষ্টা করছি মাত্র।'


আলোচনাসভায় টেকনিক্যাল রাইটিং-কে বিপণনমুখী করা নিয়ে বিতর্কও ছিল বেশ মনোগ্রাহী। এ নিয়ে পক্ষে - বিপক্ষে মত পোষণ করেন পেশাদাররা। এই ধরণের আয়োজন সামগ্রিক ক্ষেত্রকে বুঝতে সাহায্য করে বলে জানালেন অংশগ্রহণকারী টেকনিক্যাল রাইটাররা।