জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মহাকাশে শব্দের কোনও অস্তিত্ব নেই। শব্দের প্রবাহের জন্য বাতাসের প্রয়োজন। মহাকাশে সেটিরও অস্তিত্ব নেই। ফলে মহাকাল শব্দহীন। এমনটাই বিশ্বাস ছিল। কারণ বৃহস্পতিবার সারা বিশ্বের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেছেন যে তারা মহাকর্ষীয় তরঙ্গের অস্তিত্বর প্রমাণ পেয়েছেন। যা ব্রহ্মাণ্ডের শব্দ বলেই বিবেচনা করছেন তাঁরা। যাকে বিজ্ঞানীরা নাম দিয়েছেন, 'Background Hum'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Massive Solar Strom: ফের অশান্ত সূর্য, সৌরঝড়ের প্রভাবে বিপর্যস্ত হতে পারে পৃথিবী!


উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, চীন, ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকশত বিজ্ঞানী রেডিও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে বছরের পর বছর কাজ করার পর এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। অবশ্যই বিজ্ঞানের ইতিহাসে এটি অন্যতম মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। গবেষণার নতুন দিগন্তও উন্মোচিত হবে বলে আশা রাখা হচ্ছে। যদিও এক শতাব্দীরও বেশি আগে অ্যালবার্ট আইনস্টাইন প্রথম ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এই শব্দব্রহ্মের বিষয়ে। তিনি বলেছিলেন, মহাকর্ষীয় তরঙ্গগুলি আলোর গতিতেই থাকে। ফলে তা বাধাহীনভাবে সমস্ত কিছুর মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়াতে সক্ষম।


যদিও আইনস্টাইনের বক্তব্যকে পরীক্ষা করার সুযোগ ঘটেনি। ২০১৫ এর পর দুটি ব্ল্যাক হোলের সংঘর্ষের ফলে তৈরি প্রথম মহাকর্ষীয় তরঙ্গ সনাক্ত করা গিয়েছিল মার্কিন এবং ইতালীয় মানমন্দিরগুলিতে। সেই সময় থেকে বিশ্বাস জন্মাতে থাকে যে মহাকাশেও 'শব্দের' অস্তিত্বও হয়ত রয়েছে। তবে তা 'হাই ফিক্রোয়েন্সি'। সাধারণ ডেসিবেলে নেই বলেই সে শব্দ কানে শোনা যায় না। 


কিন্তু কয়েক দশক ধরে বিজ্ঞানীরা কম-ফ্রিকোয়েন্সি মহাকর্ষীয় তরঙ্গের জন্য অনুসন্ধান করছেন, যা Background Hum এর মতো মহাকাশের মধ্য দিয়ে ক্রমাগত ঘূর্ণায়মান বলে মনে করা হয়। ইউরোপীয় পালসার টাইমিং অ্যারে-এর মাইকেল কিথ সংবাদসংস্থা এএফপিকে বলেন, "আমরা এখন জানি যে মহাবিশ্ব মহাকর্ষীয় তরঙ্গে পরিপূর্ণ। ফলে ব্রক্ষাণ্ড যে শব্দহীন এ কথা আর এখন বলা যাবে না।



আরও পড়ুন, Decoding Titan: টাইটানিক দেখতে গিয়ে 'ভ্যানিশ' সাবমেরিন, ৫ যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ জলযান!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)